বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, বিপণন ও মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। গত ঈদ-উল-ফিতরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, পিয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ, হলুদ, খেজুর ইত্যাদির সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিত ছিল। আগামী ঈদ-উল আজহার সময়ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। মন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদ-উল আজহার জন্য গরম মসলা বিশেষ করে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতা ইত্যার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। মূল্যও বৃদ্ধি পাবে না। শুধু ঈদের সময় নয় সবসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতা কামনা করেন। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, বিপণন ও মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার নিমিত্ত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের জন্য গঠিত কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ভোজ্য তেল, পিয়াজ, রসুনসহ সকল প্রকার গরম মসলার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় মসলা ইতিমধ্যে আমদানি করা হয়েছে। বাজারে এসব পণ্যের সঙ্কট বা মূল্যবৃদ্ধি পাবে না। এক্ষেত্রে তিনি প্রচার মাধ্যমের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) অমিতাভ চক্রবর্তী, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল খান চৌধুরী, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারোয়ার জাহান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়া, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক মজিবর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সুলতান মো. ইকবাল, বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা বিক্রেতার মহাসচিব মো. আতিকুল হক, ঢাকা মহানগর ফল আমদানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সফি মাহমুদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান এম এ কাদের কিরনসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মৎস্য ও প্রাণি সম্পমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।