বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিউ ইয়র্কে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন চলছে, যা এর আগে অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়নি। রয়টার্স জানিয়েছেন, আগামী রোববার নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে (এমএসজি) ১৮ হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে অভ্যর্থনা জানানো হবে মোদিকে। এমএসজি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মিলনায়তনগুলোর একটি। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, কনসার্ট ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় সেখানে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হিন্দি ভাষার ভাষণ টাইমস স্কয়ারে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া, ভারতীয় টিভিগুলো মোদির ওই ভাষণ সরাসরি সমপ্রচার হবে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লির মসনদে আরোহণের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে অনেক বছর তার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল ওয়াশিংটনের। নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে মোদির সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জমায়েত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সফরকে নানাদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয়রা। বোস্টনে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ড. দীনেশ প্যাটেল বলেন, ভারতের জনগণ এবং বিশ্বব্যাপী ভারতীয় অভিবাসীরা আশা করছে, মোদি সরকার আমলাতন্ত্রের জটিলতা কমিয়ে জনগণের দিকে দৃষ্টি দেবে। দীনেশ ৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তবে মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়েও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অন্য দেশের ওপর গোয়েন্দাগিরি নিয়ে দু’দেশের বিরোধের কারণে কিছুটা শঙ্কা রয়ে গেছে। সামপ্রদায়িক সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে গুজরাটের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রীর ভিসা বাতিল করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য ভারতীয় আদালত ওই ঘটনায় মোদিকে নির্দোষ বলেছে। তবে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগের জরিপগুলোতে মোদির জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পর ধীরে ধীরে তার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।