আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনার ভাঙন অব্যাহত থাকায় তিন শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ২০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে- ফজলুপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর, কাউয়াবাঁধা, চন্দনস্বর, পশ্চিম খাটিয়ামারী, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, উজালডাঙ্গা, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম জিগাবাড়ী, বুলবুলি, দক্ষিণ হরিচণ্ডি, উত্তর হরিচণ্ডি, তিনথোপা, পাগলার চর, ঘাটুয়া, দক্ষিণ সন্যাসী, আনন্দবাড়ী, আলগার চর, গজারিয়া ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা, নামাপাড়া, উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া, উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাতারকান্দি গ্রাম। এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিনের ভাঙনে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ৯০টি পরিবার নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে। এছাড়া ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদীর তীরবর্তী লোকজন চরম উৎকণ্ডা ও শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে কৃষকরা ধারদেনা করে গাঞ্জিয়া ধানের চারা রোপন করেছিল। কিন্তু বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব গাঞ্জিয়া ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদচেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত ফজলুপুর ইউনিয়নের চারদিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত লোকজন বাড়ি-ঘর সরিয়ে আশ্রয়স্থল খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙন পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করে উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক আবু বকর সিদ্দিক ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা।