প্রতিবারের মতোই এবারও অনেকটা অজানা বা গণমানুষের দৃষ্টির আড়ালে পড়ে থাকা অধ্যায়ের দিকে বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের দৃষ্টি কাড়তে যাচ্ছেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। তার সাড়া জাগানো আয়োজনে এবার ঈদে উঠে আসছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী ছিটমহল অধ্যুষিত পাটগ্রাম উপজেলা। ওই উপজেলার রাবারড্যাম মাঠে হাজার হাজার কৃষককে নিয়ে তিনি মেতেছিলেন ঈদ আনন্দ আয়োজনে। এবার খেলার মধ্যে ছিল তৈলাক্ত গায়ে কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, ঝুড়িতে আলু, চক্র খোঁজ, পাটের দড়ি পাকানো, বালিশ লড়াই, কাঁধে বসে কলস বহন, গাছে পানি ঢালা, বালতি ভরো ও মুরগি ধরো। প্রতিটি প্রতিযোগিতার সঙ্গেই এলাকার জনমানুষের সুখ-দুঃেখর মালা গেঁথেছেন তিনি। তুলে ধরেছেন পাটগ্রাম তথা লালমনিরহাটবাসীর বড় সমস্যা ও সঙ্কটগুলো। ছিটমহলবাসীর জীবনচিত্র, বাল্যবিয়ে, বুড়িমারী স্থলবন্দরের প্রচলিত অবস্থা, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদির চিত্র খেলার মাঝে মাঝে তুলে ধরেছেন তিনি। তার প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে খনিজ পাথরসমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলের একটি বিশেষ চক্রের অশুভ তৎপরতার তথ্যচিত্র। যারা সব সরকারি নিয়মনীতি, মানবতা ও প্রকৃতিকে তুচ্ছজ্ঞান করে অবলীলায় মাটির নিচ থেকে ভয়াবহ প্রক্রিয়ায় পাথর উত্তোলন করছেন। যার মাধ্যমে লালমনির-হাটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিজমি, জনবসতি ধসে চলে যেতে পারে অতল গহ্বরে। ইতিমধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার বহু শিশু-কিশোর এবং সব বয়সী বহুসংখ্যক মানুষের করুণ মৃত্যু হয়েছে পাথর তোলার কারণে সৃষ্ট গভীর গর্তে পড়ে। এমন অজানা চিত্রগুলো হালনাগাদ তথ্যসহ এবারের ঈদ আনন্দে তুলে ধরবেন শাইখ সিরাজ। ‘কৃষকের ঈদ-আনন্দ’ প্রচার হবে ঈদুল আজহার পরদিন বিকাল সাড়ে ৩টায়।