সিলেটে ট্রাভেলস এজেন্সির টালবাহানায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৩৩ জনের হজযাত্রা। হজযাত্রীরা সিলেটের হরিপুর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানইঘাট, সালুটিকর এলাকার বাসিন্দা। হজ ফ্লাইটের কথা বলে ৪ দিন সিলেটে বসে থাকলেও নিশ্চিত হতে পারছেন না আদৌ তারা হজে যেতে পারবেন কিনা। বিক্ষুব্ধ হজযাত্রীরা গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর মজুমদারীর ওই ট্রাভেলস এজেন্সি ঘেরাও করে রাখেন। তবে মালিকপক্ষের কারোরই নাগাল পাননি তারা। বিক্ষোভকারী হজযাত্রীরা জানান, পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে তারা প্রত্যেকে নগরীর মজুমদারীর মেসার্স বুশরা ইন্টারন্যাশনাল নামের ট্রাভেলস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হাফিজ মাওলানা সালেহ আহমদের কাছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্লাইটের কথা বলে এই ৩৩ হজযাত্রীকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ওই দিন তাদের পাঠানো হয়নি। এভাবে শুক্র, শনি ও গতকাল রোববার সকালেও পাঠানোর কথা বলে তাদের নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হজে পাঠানোর কোন উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হজযাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে মজুমদারিতে এসে ট্রাভেলস এজেন্সি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পাশের আরেকটি ট্রাভেলস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী তাদের বিকালে হজে পাঠানোর নিশ্চয়তা দেন। তবে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মীমাংসা হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে বুশরা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী হাফিজ মাওলানা সালেহ আহমদের দুটো মোবাইল নম্বরে (০১৭২০-৫৯৫৯২৭, ০১৭১১-৮৪৯৬৪৭) ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।