এলসি খোলায় ভাটা

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় ভাটা পড়েছে। তবে নিষ্পত্তির হার কিছুটা বেড়েছে। আগস্ট মাসে এলসি খোলার পরিমাণ আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় ১০.২১% কমেছে। অন্যদিকে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৩.০৭%। যদিও অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার দু’টোই কমেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্ট মাসে মোট ৩২৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ পণ্যের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। যা জুলাই মাসের তুলনায় ১০.২১% কম। জুলাই মাসে মোট ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ছিল ৩৪৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। একই  সময়ে, ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৩৫ কোটি ২২ লাখ ডলার, যা জুলাই মাসের তুলনায় নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৩.০৭%। এ সময় মোট ২৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনও আস্থার ঘাটতি রয়ে গেছে। সে কারণে মূলধনী যন্ত্রপাতি, পোশাক শিল্প, গার্মেন্ট শিল্প খাত ও বিদ্যুৎ খাতের যন্ত্রপাতি আমদানিসহ বিভিন্ন এলসি খোলায় ঋণাত্বক ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্ট মাসে মূলধনী যন্ত্রাংশের জন্য ২০ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ২১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। যা জুলাই মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। ব্যাক টু ব্যাকের পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৫২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। পোশাক শিল্পে ব্যবহূত রাসায়নিক পণ্য আমদানিতে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল আমদানিতে ৪ কোটি ৪১ লাখ ডলার ঋণপত্র খোলা হলেও ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গম আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৮ কোটি ডলার, খোলা হয়েছে ৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার। চিনি আমদানিতে ৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এছাড়া অপরিশোধিত তেল আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের, নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এ সময়ে অন্যান্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আর নিষ্পত্তি হয়েছে ১০০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *