জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশন উপলক্ষে ৮ দিনের নিউ ইয়র্ক সফর শেষ করে লন্ডনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় সকালে মার্কিন এক বিমানে লন্ডনের পথে রওনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সকাল সোয়া ৭টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বাসস’র খবরে একথা জানানো হয়। তিনি দু’দিন লন্ডনে অবস্থানের পর ২রা অক্টোবর সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল মোমেনসহ ব্যাপক সংখ্যক প্রবাসী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। গত ২২শে সেপ্টেম্বর তিনি নিউ ইয়র্ক পৌঁছান। সেখানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেয়া ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ ক’জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিশ্ব নিরাপত্তা, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব শান্তির অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘকে মুখ্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। জলবায়ু সম্মেলন ২০১৪’র উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন এবং সম্মেলনের ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন অ্যান্ড অ্যাম্বিশন অ্যানাউন্সমেন্ট সেশনে অংশ নেন। তিনি গ্লোবাল এডুকেশন ফার্স্ট ইনিসিয়েটিভ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনা সভায়ও অংশ নেন। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে তাদের সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য নেয়া তার সরকারের আর্থিক নীতি ও প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠক এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কর্মসূচির সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। এছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।