যমুনা গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠানের করের টাকা পরিশোধ করতে বলায় মিথ্যা অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে যুগান্তর পত্রিকায় ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপকএম এ মান্নান। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে মেয়র মান্নান বলেন, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ই অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত ‘গাজীপুর সিটি মেয়রের মনগড়া ট্যাক্সের বোঝা’ শীর্ষক সংবাদ মনগড়া, বাস্তবতা বিবর্জিত ও প্রতিবেদকের কল্পনাপ্রসূত। একই সঙ্গে যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যা সিটি করপোরেশন এবং মেয়রের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণœ করেছে। তিনি সংবাদ কর্মীদের সত্য, তথ্যনির্ভর এবং নির্ভরযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান। মেয়র জানান সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স নির্ধারণের জন্য The Municipal corporation (Taxation) Rules, ১৯৮৬ আইনের বিধি ১৯ ও ২০ এর আলোকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীর ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০১১ সালের রেট সিডিউল অনুসরণ করে নির্মাণ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে মনগড়া ট্যাক্স নির্ধারণের কোন সুযোগ নেই। মেয়র মান্নান বলেন, যুগান্তর ও যমুনা টিভির মালিক নূরুল ইসলাম বাবুলের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোনাবাড়িতে চারটি কারখানা রয়েছে। এলাকাটি তখন ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত ছিল। তখন সুনির্দিষ্ট ট্যাক্স রেট ছিল না। সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত হওয়ার পর ÔTax on annual value od buildings & lands, lighting rate & conservance rateÕ অনুসারে ট্যাক্স নির্ধারণ করে ট্যাক্স পরিশোধের নোটিশ দেয়া হলে তিনি তা পরিশোধ না করে পত্রিকায় এরূপ চরিত্র হননকারী খবর প্রকাশ করেছেন বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, যমুনা গ্রুপের ট্যাক্স নির্ধারণ করতে গেলে নুরুল ইসলাম বাবুল সিটি কর্পোরেশনের কর কর্মকর্তা মনসুর আহমেদকে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে নয়তলার ছাদ থেকে ফেলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে। মূলত ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নুরুল ইসলাম বাবুল আমার ও সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করছেন। মেয়র বলেন, তিনি যে নিয়মিত কর দেন না এর উদাহরণ হলো- সরকার তার বিরুদ্ধে সাতটি কর ফাঁকির মামলা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিতাসের আট কোটি টাকার বিল না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়, শুধু সিটি কর্পোরেশনের ধার্যকৃত ট্যাক্স না দেয়ার জন্য তিনি আমার এবং সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তিনি এসব মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ কর্মীদের সত্য ও তথ্য নির্ভর সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান। মেয়র বলেন, দৈনিক যগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন যদি এ রকম মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত না থাকে তাহলে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে সিটি কাউন্সিলর শওকত আলম, আজমল হোসেন, হান্নান মিয়া হান্নু, তানভীর আহমেদসহ প্রায় ৫০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।