1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
কর্মবীর শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনি - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত বিএনপির প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন খুঁজছে তোমায়: পূজা চেরি প্রযোজককে এসিড নিক্ষেপের হুমকি, চিত্রনায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি ছেলেদের সৌন্দর্য কিসে, জানালেন জায়েদ নিপুণের আবেদনে পেছাল ভোটের তারিখ, অসন্তুষ্ট মিশা ফরজ গোসল না করে সেহরি খেলে কি রোজা হবে? ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও, কোন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ রোজা রাখলে পাবেন ৫ উপকার ‘রিয়াজ এখন নিপুণের চামচা হয়ে গেছে, এটা খুব কষ্টের’ মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বেশি কথা বললে সব রেকর্ড ফাঁস করে দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ রিজভীর ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলা নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বুর্জ খলিফায় শাকিবের সিনেমার প্রচারে ব্যয় কত? বুবলী-পরীমনির দ্বন্দ্বের মাঝে অপু বিশ্বাসের রহস্যময় স্ট্যাটাস

কর্মবীর শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনি

  • Update Time : শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪
  • ৭৬৭ Time View

jahurul islamমোহাম্মদ খলিলুর রহমান (লেখক -সাংবাদিক)

আজ শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামের ১৯ তম মৃত্যু বাষির্কী, সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি কর্মবীর প্রয়াত জহুরুল ইসলামকে। যার শ্রম, মেধায়, সততা, একনিষ্ঠতা, আÍবিশ্বাস, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছে। দেশের সীমানা ডিঙিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে তার ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছেন । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির কর্মসংস্থানের দুয়ারও খোলে তার মাধ্যমে। শুধু বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানেই নয়, তার জনহিতের হাত প্রসারিত হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, ব্যাংক, কৃষিতে। জহুরুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দালনের সময় পাকিস্তান সরকারের জেলে আটক নেতা-কর্মীদের মোকদ্দমাদির খরচ, আহতদের চিকিতসার খরচ জোগাতেন। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার খরচও ব্যক্তিগতভাবে বহন করেন তিনি। এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নীরবে-নিভৃতে নিজেকে স¤পৃক্ত করে নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিকের ভূমিকা পালন করেছিলেন জহুরুল ইসলাম।
ভাগ্যান্বেষণে সততা-পরিশ্রম-আÍবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে একজন মানুষ কত মহীয়ান-গরীয়ান হতে পারেন, তিনি সেই বিস্ময়কর উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন। দেশবরেণ্য এই কৃতী শিল্পপতি ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর, ৬৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
জন্ম:- শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ১৯২৮ সালে ১ আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলা বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন বাজিতপুর পৌরসভার (১৯৫৮-১৯৬১) সালের চেয়ারম্যান। তার দাদা হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বাজিতপুরের সূপরিচিত মুখ। মা মোছা: রহিমা খাতুন ছিলেন মহিয়ষী দানবীর নারী।
বংশ:- আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামে পূর্ব পুরুষ ছিলেন ভাগল খাঁ। ভাগল খাঁ এই অঞ্চলে আগমনের দুটি জনশ্র“তি রয়েছে। অধিক সংখক মানুষের মতে মুঘল আমলে বায়েজিদ খাঁ নামক জনৈক রাজ কর্মচারী তার অপর তিন ভ্রাতা ভাগল খাঁ, পৈলান খাঁ, দেলোয়ার খাঁ দিল্লী থেকে এই অঞ্চলে আসেন। কিছু দিন পর তারা বাজিতপুরের আস পাশে বাসস্থান করে বসবাস করেন। এই সময় বায়েজিদ খাঁর বসবাসের এলাকাটাকে বায়েজিদপুর, পরে উচ্চারণ বিবর্তনে বাজিতপুর, ভাগল খাঁর নামে ভাগলপুর, পৈলান খাঁর নামে পৈলানপুর, দেলোয়ার খাঁর নামে দিলালপুর পরিচিতি লাভ করে।
দ্বিতীয় জনশ্র“তিতে বলা হয় বায়েজিদ খাঁ নামে মোগল সেনাপতিকে প্রেরন করা হয়েছিল হাওড় অঞ্চলে ঈশা খাঁর অগ্রগতিকে রোধ করার জন্য। বায়েজিদ খাঁ তার সাথে তিন ভাইকে নিয়ে আসেন। ঈশা খাঁ তখন হাওড় অঞ্চলে ঘোড়াউত্রা নদীর পূর্ব পাশে ছিল। বায়েজিদ খাঁ অবস্থান নেন ঘোড়াউত্রা নদীর দুই মাইল পশ্চিমে বর্তমান বাজিতপুরে।তবে বায়েজিদ খাঁ সাথে ঈশা খাঁ কোন যুদ্ধ অথবা সন্ধি হয়েছিল কিনা তার ইতিহাস থেকে জানা যায়নি।
বায়েজিদ খাঁ ও তার তিন ভ্রাতা এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে শ্রীধরগঞ্জের আশে পাশে বর্তমান বাাজতপুর বাজার, ভাগলপুর, দিলালপুর ও পৈলানপুরে বসবাস শুধু করে।
জহুরুল ইসলামের পূর্ব পুরুষদের তালিকা
ভাগল খাঁ
জমির খাঁ
হাজিম খাঁ
করিম খাঁ
ইয়াসমিন খাঁ
ইমানী খাঁ
হাসিম খাঁ
আমানুল্লাহ খাঁ
আজীম খাঁ
ইয়াছিন খাঁ
হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক
আফতার উদ্দিন আহমদ
১। নজিরুল ইসলাম ২। জহুরুল ইসলাম ৩। ওয়ালিউল ইসলাম ৪। ওয়াজেদুর ইসলাম ৫। মাজেদুল ইসলাম
৬। আমিনুল ইসলাম ৭। আজহারুল ইসলাম ৮। শফিউল ইসলাম ৯। শামসুন্নাহার বেগম
১০। নুরুন্নাহার বেগম ১১। গুলনাহার বেগম
জহুরুল ইসলামে সন্তানগণ
১। মঞ্জুরুল ইসলাম (বাবলু) ২। সাইদা ইসলাম (বেবী) ৩। মাফিদা ইসলাম (শিমি) ৪। নাইমা ইসলাম (ইমা)     ৫। কানিতা ইসলাম (কানিতা)
মঞ্জুরুল ইসলাম বাবলুর সন্তান- ১। কাশফিয়া ইসলাম
শৈশব এবং শিক্ষা:- ছোট বেলা জহুরুল ইসলাম ছিলেন বিনয়ী মিশুক ও দুরন্ত প্রকৃতির। সমবয়সীদের সাথে ঘুরে বেড়ানো এবং খেলাধুলায় ছিল খুব আগ্রহ। গরীব দু:খীদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করার সভাব ছিল ছোট বেলা থেকেই। স্থানীয় স্কুলে ৫ম শ্রেনীতে উর্ত্তীন হয়ে কিছু দিনের জন্য সরারচর শিবনাথ হাই স্কুলে পড়েন। সে খান থেকে স্কুল পরিবর্তন করে বাজিতপুর হাই স্কুলে ভর্তি হন। লেখা-পড়ার এক প্রর্যায়ে  চাচার সাথে কলকাতায় চলে যান। সে খানে রিপন হাই স্কুল থেকে ইংরেজী মিডিয়ামে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করে বর্ধমান কলেজে ভর্তি হন। পরে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে ভর্তি হয়ে মেধা থাকার সত্ত্বেও লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়া হলনা।
চাকরী এবং ব্যবসা:- আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করা হলনা তার। ফলে ১৯৪৮ সালে ৮০ টাকা মাসিক বেতনে সি এন্ড বি এর ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট হিসাবে তিনটি বছর সুনামের সাথে চাকরী করে ১৯৫১ সালে পদত্যাগ করেন। অফিসার তার পদত্যাগের কথা শুনে উচ্চ পদে উন্নতি করন সহ লোভনিয় প্রস্তাব দেন। জনাব জহুরুল ইসলাম তার প্রতাহার করে বাবা ছোট খাট ঠিকাদায়ী ব্যবসায় জরিয়ে জান। প্রথম দিকে পিতার সাহায়তা কারী হিসাবে বিভিন্ন স্থানে পরিচিত হন। পরবর্তিতে নিজেই ঠিকাদার হিসাবে তালিকাভূক্ত হন। ঠিকাদার হিসাবে প্রথম কাজ হল সরকারী অফিসে বার শত টাকার স্টেশনারী দ্রব্য সরবরাহ করা। দ্বিতীয় কাজ কিশোরগঞ্জ পোষ্ট অফিস ঘর নিমার্ন। এই ভাবে একের পর এক কাজ আসে ব্যস্ত হয়ে পরেন তিনি। এরই মধ্যে জনাব জহুরুল ইসলাম প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসাবে স্বীকৃতি পান। কঠিন শ্রম, মেধা আর ধৈর্য সাহস নিয়ে সৃষ্টি করতে থাকেন দেশের সরকারী এবং বেসরকারী বড় বড় ভবন, রাস্তা, ঘাট। এই গুলো মাঝে উল্লেখ যোগ্য
১। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান
২। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোট ৩। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন
৪। হযরত শাহ জালাল আন্তজাতিক বিমান বন্দর টার্মিনাল।
৫। জীবন বীমা ভবন।
৬। সাধারন বীমা ভবন।
৭। টোয়েটা ভবন।
জনাব জহুরুল ইসলাম শুধু বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেনা। পাশা পাশি সমগ্র বিশ্বে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসাবে সুনামের সহিত আমৃত্যু কাজ করেছেন। তিনি ঠিকাদারির পাশা পাশি বিভিন্ন ব্যবসার মাঝে মনযোগ দেন। তার প্রতিষ্ঠিত্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো হল।
১। ইষ্টাণ হাউজিং লিমিটেড।
২। নাভানা গ্র“প লিমিটেড।
৩। আফতাব অটোমোবাইলস।
৪। নাভানা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
৫। ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
৬। ঢাকা ফাইবার্স লিমিটেড।
৭। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
৮। দি মিলনার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
৯। ইষ্টার্ণ এষ্টেটস লিমিটেড।
১০। ভাগলপুর ফার্মস লিমিটেড।
১১। মিলনার্স টিউব ওয়েলস লিমিটেড।
১২। এসেনশিয়াল প্রডাক্টস লিমিটেড।
১৩। ইসলাম ব্রাদার্স প্রেপাটিজ লিমিটেড।
১৪। জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
১৫। আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড।
১৬। আফতাব কারুপন্য।
১৭। বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশ লিমিটেড।
১৮। দি রিভার ভিউ লিমিটেড।
১৯। ইষ্টার্ণ এষ্টেট লিমিটেড।
২০। আলস লিমিটেড।
২১। আল-হামরা গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
২২। আফতাব ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড।
২৩। আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড।
২৪। উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।
বিবাহ ও পরিবার:- জনাব জহুরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার অধ্যাপক আলহজ্বা মোশাহেদ আলী চেীধরীর কন্যা সুরাইয়া বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জীবন সঙ্গিনী সুরাইয়া ইসলাম ছিলেন তার জীবনের অনূপ্রেরনা প্রধান উস। বিবাহের ৫ বছর পর তাদের প্রথম সন্তান  মঞ্জুরুল ইসলাম (বাবলু) জন্ম গ্রহন করেন। তার পর একে একে আর ৪ মেয়ে সন্তানের পিতা হন জনাব জহুরুল ইসলাম। তারা কন্যা দ্বয় হলেন ১।সাঈদা ইসলাম(বেবী) ২। মাফিদা ইসলাম(শিমি) ৩। নাইমা ইসলাম(ইমা) ৪। কানিজা ইসলাম(কানিতা)।
আত্মীয় পড়ায়ন:- আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই ছিল মুক্ত মনের মানুষ। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন এলাকার মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগীতা কারার প্রতি ছিল প্রচন্ড আগ্রহ। লেখা পড়া শেষে যখন চাকরী পরবর্তী ব্যবসা শুরু করেন তখনী ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সকলকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভাই বোন সকল কে স্কুল/কলেজে ভর্তি করে দিয়ে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। কাছের কিংবা দূরের আত্মীয় স্বজনদেও কে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি করতে তিনি বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেন। বাজিতপুরের মানুষদের কর্মস্থানের জন্য বাজিতপুরে গড়ে তোলেন অধশতাদিক ফার্ম। আত্মীয় স্বজন এলাকাবাসীর উত্তম স্বাস্থ্য সেবার জন্য বাজিতপুরে গড়ে তোলা হয় জহরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। ভাগলপুরে গড়ে তোলা হয় উন্নত মানের শিক্ষা নগরী। তিনি কখনও একা খেতে বসতেন না আত্মীয় স্বজন এলাকবাসীদেরকে সঙ্গে নিয়ে খেয়ে তৃপ্তি পেতেন। আত্মীয়র সমস্য সমাধানে তিনি কখন বিরুক্ত হতেন না। সকল কে উপরে তোলার চেষ্টা ছিল তার মাঝে। ছোট ভাই শফিউল ইসলাম (কামাল) আমার সাতে কথপো কথর এক প্রযায়ে জহুরুল ইসলাম সর্ম্পকে বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বলে জহুরুল ইসলাম শুধু আমার ভাই না আমার বাবা, আমার জীবন, আমার সব। তার মত চরিত্রবান লোক আমার চোখে পড়েনা।
ধর্ম পরায়ন:- উন্নত চরিত্রের অধিকারী শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ছিলেন একজন ধর্মভীরু মুমিন মুসলামান। এক আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, নবী মোহাম্মদের আদেশ উপদেশ পালনে তিনি ছিল খুবই আন্তরীক। প্রচুর ধন সম্পদের উদ্দে এসে দুনিয়া ও আখেরাতের মাঝে সামঞ্জস্য রেখে পথ চলেছেন সবসময়। প্রচার বিমুখ জহুরুল ইসলাম প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ডান হাতে দান করতেন বাম হাতকে না জানিয়ে। তার কাছে সাহায়্যে চেয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন এমন ইতিহাস নেই।
নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতে ব্যপারে তিনি ছিল খুবই সচেতন। পুত্র মঞ্জুরুল ইসলাম পিতার সর্ম্পকে বলেন । আমি বাবার মাঝে বদ অভ্যাস, বদ স্বভাব কোন দিন লক্ষ করিনি। তিনি নেশা জাতীয় দ্রব্য এমনকি পান, সিগারেট খেতেন না। তিনি অসম্ভব রকমের ধার্মিক ছিলেন। কোন রকমের মিত ব্যয়ী প্রছন্দ করতে না। বার বছর বয়স থেকে নামাজ পড়তেন, রোজা রাখতেন। জীবনে কোন দিন নামাজ ছেড়ে দিতে দেখিনি। যতদিন শক্তি ছিল, সমর্থন ছিল ততদিন হজ্ব পালন করেছেন। মাঝে মাঝে দূর্বল শরীল নিয়েও বছরে ২/৩ বার ওমরাহ করেছেন। হজ্বে বেশি ভীড় হতো বলে তিনি ওমরাহ করতেন। বাবা বলতো তাঁর জন্য ওমরাহ হচ্ছে বাস্তবের ছুটির সময়। কারন ঐ একটি জায় গায় যে খানে ব্যবসা বানিজ্য পরিবারকে ভুলে আল্লাহর ইবাদাত করা যায়।
জহুরুল ইসলাম জামাতে নামাজ পড়িতে খুব প্রছন্দ করতেন। সে কারনে তার প্রতষ্ঠিত প্রত্যেকটি স্থাপনা প্রকল্প মসজিদ ও ইমামের ব্যবস্থা করতেন। রোজার ব্যপারে তিনি ছিলেন আর বেশী সিরিয়াস। একবার ভূল করে একটি রোজা ভেঙ্গে গেলে ইমাম সাহেবের স্বরনা পন্ন্য হন। ইমাম একটি রোজার বিপরীতে ৬০ জন মিসকিনকে খাইয়ে দিতে বলেন। জহুরুল ইসলাম  ইমাম সাহেব কে বলেন এতেতো আমার কোন কষ্ট হবেনা। বরং আমি ৬০টি রোজা রেখে ফেলি। এই বলে একাধারে ৬০টি রোজা রাখলেন। ইসলাম সাহেবে জীবনে কত বার হজ্ব করেছেন তা তার জানা নাই। তিনি হজ্বকে পুণজন্মে মত করে দেখতেন। যাকাতের ব্যপারে তিনি ছিলেন সব সময় অগ্রগামী। হিসাবে অতিরিক্ত যাকার প্রধান করে তিনি আল্লাহ কাছে শোকর আদায় করিতেন। আল্লাহ চানতো আগামী দিনে তার ধর্ম ও জীবন নিয়ে গবেষনার ইচ্ছে আছে মনে।
আর্ন্তজাতিক:- অধ্যবসায়, পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, কর্মক্ষমতার মাধমে শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে পেয়ে ছিলেন ব্যবসায়িক স্বীকৃতি। কাজের সুবিধার্তে ১৯৭১ সালে লন্ডনে একটি অফিস খোলেন। বলা য়েতে পারে সে অফিসের মধ্যদিয়ে বিশ্বের দ্বার উন্মচিত হয়। একে একে নির্মাণ করিতে থাকেন মধ্যপ্রচ্যে ৯০ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা।
আবুধাবীতে ৫ হাজার বাড়ী। ইরাকে বৈজ্ঞানিক প্রদ্ধতিতে অত্যাধুনিক ইট তৈরির কারখানা। ইয়েমেনে রাজধানীর পাশে একটি উপ শহর। ইরাকে বিখ্যাত সিটি সেন্টার ও আবদুর কাদির জিলানী (র:) মাজার শরীফ কমপ্রেক্র এর পাশে বিনা লাভে একটি আধুনিক মানের গেষ্ট হাউস সহ অসংখ স্থাপনা। এই সময় তিনি বিশ্ব জুড়ে বাংলাদেশের শ্রমীক নেওয়ার পথ উন্মক্ত করে। মধ্যপ্রচ্যে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। লন্ডনে বসেই নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা সাহায্য করেন বাংলাদেশকে।
নগরায়ন:- আগামী দিনের চিন্তা চেতনায় বলিয়ান জনাব জহুরুল ইসলাম বাংলাদেশের মানুষদের শিখিয়েছেন কি ভাবে ডোবা, নালা, খাল-বিল, ময়লা-আবর্জনাকে মাটির নীচে চাপা দিয়ে গড়ে তোলতে হয় মানুষের উপযুগি সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আধুনিক মানের শহর।
অপরিকল্পত, দূষনযুক্ত, রাস্তাবিহীন শহরের বিপরীতে তিনি প্রথম গড়ে তুলেছেন অশংখ আবাসিক প্রকল্প, অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। তার প্রতিষ্ঠত ইষ্টার্ণ হাউজিং লি:, ইষ্টাণ টাওয়ার , ইষ্টাণ ভিউ, ইষ্টাণ পয়েন্ট, ইষ্টাণ ভেলী, ইষ্টাণ নিকুঞ্জের মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রান কেন্দ্র বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিবারকে। শহরে আশে পাশে গড়ে তোলেছেন পল্লবী, আফতাব নগর, রূপ নগর, গোরান, বনশ্রী, নিকেতন, মহানগর, গাড়াডোগা, মাদারটেক, মায়াকুঞ্জ নামে আবাসিক প্রকল্প। এই সব প্রকল্পে ৫শত থেকে কয়েক হাজার ছোট, বড়, মাঝারি আকারে প্লট রয়েছে। সে সব প্রকল্পে  একাদিক মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, শিশু পার্ক, সুপার মার্কেট সহ অসংখ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ঢাকার নগরায়নে ৪০% ইসলাম সাহেবের অবদান। তিনি প্লট, ফ্ল্যাটের পাশা পাশি ঢাকা শহরে প্রাণকেন্দ্র গড়ে তোলে ইষ্টার্ণ প্লাজা,  ইষ্টাণ মল্লিকা, ইষ্টাণ প্লাসের মত অত্যাধনিক এসি র্মাকেট।
তিনি ঢাকার শহরে উপর চাপ কমাতে দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা হাতে নেন। তার দূরদশী চিন্তা আলোকেই ঢাকার পাশে সাভারে ১২০০ একর, অন্য অন্য স্থানে আর ১৫০০ একর জমি খরিদ করেন। সরকার  ইসলাম গ্র“পের সাথে কথা বলে সাভারে একটি উপ শহর তৈরি করলে আগামী দিনে হয়তো ঢাকায় তার অস্তিত নিয়ে টিকে থাকবে।
জনকল্যাণ:- সকল গুনে গুনান্বিত জনাব জহুরুল ইসলাম মানুষকে দান ও সহযোগীতা করে আনন্দ পেতেন। মানুষের উপকারে কথা চিন্তা করে তার জীবনে বেশিটা সময় কাটিয়ে ছেন। একে একে সৃষ্টি করেছেন অশংখ জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান। দেশে এবং বিদেশে খুড়িয়েছেন সুনাম। নিচে তার জনকল্যাণ মূলক কাজের অংশবিশেষ।
* জহুরুল ইসলাম এডুকেশন কমপ্লেক্্র। যার অধীনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে র্অধশত স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা রয়েছে।
* জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। যে খানে প্রতিবছর হাজার হাজার রোগীর চিকিসা করা হয়। সৃষ্টি করা হয় শত শত ডাক্তার, নার্স।
* মাজেদুল ইসলাম শিক্ষা কল্যান ট্রাষ্ট। এর মাধ্যমে দেশের গরীব দু:খী, বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রদের সাহায়্য করা হয়।
* ঢাকাস্থ বাজিতপুর সমিতি, কিশোরগঞ্জ সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব সহ অসংখ প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের ডোনার।
* স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় নামে বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সাহয্য করেন বাংলাদেশের
* ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় বছর ব্যাপি কিশোরগঞ্জে ২০০টি লঙ্গর খানা ব্যবস্থা করেন।
* বাংলাদেশের বেকার যুবকদের জন্য বিদেশে কর্মস্থানের সৃষ্টি করেন।
* আফতার গ্র“পের অধিনন্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকায় ৪০% মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করেন।
বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম:- ঐতিয্যবাহী বাজিতপুরে যুগে যুগে অনেক আলোকিত মানুষের জন্ম হয়েছে। তাদের কর্ম দক্ষতা এই জনপদকে করেছে আলোকিত। তাদের মাঝে উল্লেখ যোগ্য ৪০ দশকে খান বাহাদুর আবদুল করিম।
৫০ দশকে হামিদউদ্দিন খান। ৬০ দশকে আবদুল মোনেম খান। সর্বশেষ শিল্পপদি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম এই
জনপদের অহংকার গৌরব। তার অসাধারন অধ্যবসায়, পরিশ্রম, সততা, নিষ্টা ও কর্মক্ষমতার সারা দেশের মত বাজিতপুরের প্রজলিত হয়েছে। সুদূর প্রসারি চিন্তার আলোকে বাজিতপুর হয়ে উঠেছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাঝারি শিল্পের নগরী, কৃষি খাতে এনেছে আমুল পরিবর্তন।
শিক্ষা:- শিক্ষা আধুনীকায়নে জহুরুল ইসলাম এডুকেশন কমপ্লেক্র এই জনপদকে করেছে আলোময়। তিনি জানতেন এবং মানতেন শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড। আর সে কারনে প্রত্যক ও পরোক্ষ ভাবে বাজিতপুর, তার আসে পাশের স্কুল কলেজ গুলোতে মান উন্নয়নে গুরত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বাজিতপুরের পশ্চিম অঞ্চলে গড়ে তোলেন আধুনীক উন্নত মানের শিক্ষালয়। সে গুলো হল জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, বেগম রহিমা খাতুন গালর্স হাই স্কুল।
স্বাস্থ্য:- স্বাস্থ্যখেতে তার অবদান অনস্বীকার্য। গরীব দু:খি মানুষের কথা চিন্তা করে ভাটি জনপদের প্রবেশ মূখে  গড়ে তুলেছেন বিশাল জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ও নাসিং হোম। ফলে কিশোরগঞ্জ তার আশ পাশের জেলা গুলো মানুষ জন উত্তম সেবা পেতে ছুটে আসেন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হসপিটালে। সর্ব শ্রেনীর মানুষের সেবা উপযোগী এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে। পাশা পাশি প্রতি বছর শত শত ডাক্তার নার্স পাশ করে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে মানুষের সেবাই।
খদ্যশষ্য:- জনাব জহুরুল ইসলাম মানুষের মূলিক চাহিদা পূরনে সূযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার ব্যপারে ছিল আন্তরিক। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য ডিম, মুরগী, মাছ, দুধ, শাক সবজি উত্তম ফলনে দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ দ্বারা গবেষনা করে উন্নত মানের বেশি খাদ্য শষ্য বাজার জাত করার প্রতিশ্র“তি বদ্ব। তার প্রতিষ্ঠিত শত শত খামার হতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ডিম, মাছ, মরগী, দুধ সারা দেশে পুষ্টিকর খাদ্য পূরণে গুরত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
রাস্তা:-জনাব জহুরুল ইসলাম জানতেন কোন অঞ্চলের উন্নয়নের পূব শর্ত হল সে এলাকার রাস্তা ঘাটে উন্নয়ন। আর তাই বাজিতপুরে দুটি রেল স্টেশন থাকার পড়ও ভালগপুরে নতুন একটি রেল ষ্টেসন স্থাপনের প্রয়োজনীয় উপলদ্দি করে সে খানে রেল ষ্টেশন স্তাপন করেন। পাশা পাশি বাজিতপুরের রাস্তা গুলোকে ব্যপক উন্নয়ন করেন। ভাগলপুরে বাস ষ্টেশন তৈরি করে ঢাকা টু ভাগলপুর, ভাগলপুর টু কিশোরগঞ্জের উন্নত বাস সার্ভিস চালো করেন। ফলে বাজিতপুর হতে দূত সময়ে বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে যাওয়ার সুব্যবস্ত হয়। তিনি রাস্তা তৈররি সাথে সাথে বাজিতপুরে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানে জন্য মুরগীর র্ফাম সহ মাঝারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
বাজিতপুর জেলা হবার স্বপ্ন:- শত শত বছরে লালিত স্বপ্ন এই জনপদেরর মানুষের বাজিতপুর জেলা হবে। সে যৌক্তিকতার মাঝে তিলে তিলে গড়ে উঠা জেলা হওয়ার সব প্রক্রিয়াই চল ছিল। তাতে গুরুত্ব পূণ ভুমিকা রাখেন বাজিতপুরের খ্যাতি সন্তান আলহ্জ্বা জহুরুল ইসলাম। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে তিনি তার স্বরনা পন্ন্য হয়ে বাজিতপুর জেলা হবার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। জিয়াউর রহমান এই সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাফিউল করিমকে বাজিতপুরকে জেলা করার ব্যপারে প্রয়োজনীয় রিপোট দিতে বলে। তিনি ৬টি উপজেলার সমনয়ে বাজিতপুরকে জেলা সদরে উপযুক্ত স্তান বলে উল্লেখ করেন রিপোট পাঠান। তার কিছু দিন পর জিয়উর রহমানকে হত্যা করা হলে জেলা হবার প্রক্রিয়া থেমে যায়।
হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে জহুরুল ইসলাম চেষ্টাই আবার জেলা হবার একটি সুর্বণ সুযোগ আসে। তথা কথিত বাজিতপুরের কিছু বুদ্ধিজীবি ও কিশোরগঞ্জ সদরের বিরোধীতার কারনে এবারও জেলা হওয়ার স্বপ্ন ধূলিষাত হয়। জনাব জহুরুল ইসলাম বাজিতপুর জেলা বাস্তবায় কমির্টির সভায় বলেন। সরকার যদি বাজিতপুরকে জেলা ঘোষনা করে তবে তিনি নিজস্ব খরচে অত্যাধনিক নির্মান  প্রযুক্তি ও স্থপনার শৈলীর আলোকে বাজিতপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যলয়, জজকোর্ট ভবন, অন্যান জেলা অফিস ও কর্মকর্তাদের বাসা নির্মান করে দিবে। তার জীবন দসায় বাজিতপুর জেলা আর হলনা। জীবনের শেষ স্বপ্ন নিয়েই বাজিতপুর বাসীকে কাঁদিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন।
মৃত্যু:- এক বিশাল কর্মসম্রাজ্যের নীরব অধিপতি শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ১৯৯৫ সালে ১৯ শে অক্টোবর রাত ২.৩০ মিনিটে দুনিয়ার সকল ভালবাসা ত্যাগ করে যাত্রা করেন অন্তিম পরলৌকিক গন্তব্যে। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭টি বছর। দেশ বরেণ্য শিল্পপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ত্যকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিরোধী দলিয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ দেশে বিদেশের
জন্ম ভূমি বাজিতপুরে তার লাশ:- জহুরুল ইসলামের লাশ বহন কারি বিমান জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দেরে পৌছালে সরকারি বেসরকারী শত শত মানুষ তাকে দেখতে ভীড় জমায়। বিমান বন্দর থেকে লাশ গুলশানের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে খানে হাজার হাজর গন্যমান্য বক্তিবর্গ শোক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদে জোহর বাদ জানাযা নামজ শেষে ভাগলপুর নিয়ে আসে। রেডিওতে এই খবর শুনে দ্রুত ভাগলপুর চলে যাই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে হাজার মানুষের ভীড়ে আমি যেন এক অসহায় কিশোর। বিকাল ৪টা দিকে মরহুমের লাশ কফিনে করে ভগলপুর এসে পৌছানে যেন এক জন সমদ্র সৃষ্টি হয়। শত চেষ্টায় কালো গোল্ডেন রঙ্গের কফিন টিকে না ছুয়েই সন্ধ্যা লগনে বাড়ী ফিরতে হল। আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম চলে গিয়েছে রেখে গিয়েছে শত শত স্থাপনা। বাজিতপুর বাসি ছুয়ে দেখেন। সে যে কত বড় পরশ পাথর ছিল। ইতিহাস আজ নয় কাল, শত বছর পরে বলবে তুমি আমাদের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান। তোমাকে নিয়ে গৌরব করি । তুমি বেঁচে থাকবে যুগ যুগ ধড়ে বাংলায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com