শুধু বলিউডে নয়, পুরো বিশ্বের নারী অভিনেত্রীদের মধ্যে আয়ের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছেন কঙ্গনা রানাউত। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। গেলো শুক্রবার ‘পিপলস ইউথ মানি’ ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেত্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে। আর এ তালিকায় কঙ্গনা এক নাম্বার স্থানটি দখল করে নিয়েছেন। ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদেও জায়গা করে নেন গ্ল্যামারাস এই অভিনেত্রী। বিশ্বের অনেক নামিদামী অভিনেত্রীকে পেছনে ফেলে সেরা আয়ের অভিনেত্রীদের তালিকায় এক নাম্বারে এসে সবাইকে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। গত এক বছরে ৫৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেছেন তিনি। প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’ হিট হওয়ার পর থেকেই কঙ্গনা নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নেন। এক কোটি রুপি করে প্রতি ছবিতে নেন তিনি। তবে গত বছর ‘কুইন’ ছবির পর চার কোটি রুপি হাঁকান তিনি এক একটি ছবির জন্য, যা বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীরাও পান না। কিন্তু কঙ্গনা এই পারিশ্রমিকেই ‘আঙলি’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন ইমরান হাশমির বিপরীতে। সম্প্রতি একই পারিশ্রমিকে আরও দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। আর এ কারণেই বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেত্রীতে বর্তমানে পরিণত হয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। জানা গেছে, একই সম্মানীতে দুটি হলিউড ছবিতেও খুব শিগগিরই চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন কঙ্গনা। আর তা হলে আরও একটি মাইলফলক তিনি স্থাপন করবেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ২৭ বছর বয়সী কঙ্গনা নিজের পারিশ্রমিকের বিষয়ে বলেন, এটা শুধু আমার জন্য নয়, বলিউডের জন্যও সুখবর। কারণ, প্রত্যেকেরই নিজের পারিশ্রমিক সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। বিশেষ করে বলিউডে অভিনেত্রীরা এখনও অনেক অবহেলিত। যদিও তার পরিবর্তন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তাই পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। কারণ, একটি ছবি ২০০ কোটি রুপি ব্যবসা করলে একজন অভিনেতা ৪০ থেকে ৬০ কোটি রুপি পান। সেখানে একজন অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত ১০ কোটির ঘরও ছুঁতে পারেননি। এর পরিবর্তন জরুরি। আশা করছি খুব সহসাই হবে।