বিসিবি লাল ও সবুজ দলের তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের জন্য। কিন্তু প্রথম দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় ছিল লজ্জাজনক। কিন্তু জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে রুখে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও ব্যাটিং স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন। শেষ বিকালে ব্যাট করতে নেমে সবুজ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালও দেখিয়েছিলেন দৃঢ়তা। কিন্তু গতকাল সেই দৃঢ়তা অব্যাহত রেখে লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে সবুজ দল। দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। এই দু’জন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। আগের দিন ৩৫ রানে এক উইকেট হারালেও দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ১৯৩ রানের সময়। ৮৪ রান করে মুমিনুল হক বিদায় নেন। অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে রাখা অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ৯২ রানের করে আউট হন। চা-পানের বিরতি পর্যন্ত এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত যেন এই দু’জনই অস্থির হয়ে আউট হন সেই সঙ্গে সেঞ্চুরিও বঞ্চিত হন। তামিম ৬ ও মুমিনুল ১৬ রানের দূরে থাকতে সেঞ্চুরি হাত ছাড়া করেন। তবে শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমের ৩৪* ও সৌম্য সরকারের ৩৩* রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৫ ওভারে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে সবুজ দল।
এর আগে প্রথমদিন লাল দল ৭ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। সেই সুবাদে সবুজ দলের লিড ৬৪ রানের। তবে দিনের প্রায় শেষভাবে জবাব দিতে নেমে ২০ রানে এক উইকেট হারিয়ে লাল দল হোঁচট খেলেও সাব্বির ও সাব্বির ও মিঠুর আলী দৃঢ়তায় কোন ২১ ওভারে ৭৯ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে। ৬৪ রানের লিড তাড়া করতে নেমে দলীয় ২০ রানে ওপেনার লিটন দাস ০ রানে ফিরেন সাজঘরে। তবে তার বিদায়ের পর মিঠুন হয়ে উঠেন প্রচণ্ড মারমুখী। ৭০ বল খেলে তিনি অপরাজিত থাকে ৫৩ রানে। তার ব্যাট থেকে ফিফটি আসে ৬৩ বলে। তবে অন্যপ্রান্তে বেশ শান্ত ছিলেন সাব্বির রহমান। ৪৫ বল খেলে তার তিনি অপরাজিত আছেন ১৭ রানে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ের সুবাদে দ্বিতীয় দিন শেষে লাল দল এগিয়ে আছে সবুজ দলের লিড টপকে এগিয়ে আছে ৯ রানে। আজ তৃতীয় দিন শুরু করবে অপরাজিত থাকা এই দুই ব্যাটসম্যান।
অন্যদিকে গতকাল সকালে ১৬ রানে অপরাজিত থাকা তামিম ইকবাল মুমিনুল হককে নিয়ে লাল দলের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১০৩ বল খেলে ফিফটিতে পৌঁছান তামিম। অন্যদিকে বাকি ৪৪ রান করতে তিনি খেলেন মাত্র ৭৫ বল। মোট ১৭৮ বলে তিনি ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান ১০টি চারের মারে। তবে দলীয় ২১৩ রানের সময় আবুল হাসানের বল সজোরে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে। ফিফটির পরপরই তিনি যেন অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। তার আগে একইভাবে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল হকও। ১০৬ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর বাকি ৩৪ রান সংগ্রহ করতে তিনি খরচ করেন ৪৬ বল। মোট ১৫৭ বল খেলে তিনি ৮টি চারের মারে তার ৮৪ রানের ইনিংসটি সাজান। আর মুমিনুলের উইকেটও নেন ইনজুরি ফেরত আবুল হাসান। লাল দলের পক্ষে আবুল হাসান ২টি, সাকলাইন সজীব ও রুবেল হোসেন একটি করে উইকেট নেন। সারা দিনে মোট উইকেটের পতন দুই ইনিংসে ৫টি। সেই হিসাবে বলা যায় স্কোর বোর্ডে আহামরি রান না এলেও বোলাররা কোনভাবে সফল হতে পারেননি।