আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নকে (রেজিঃ রাজ-৪৯৪) চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে গতকাল রোববার ওই সংগঠনের শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সকলস্তরের সাধারণ শ্রমিকদের অংশগ্রহণে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশসহ ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এসময় রাজধানী ঢাকা ও রংপুর থেকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে এবং গাইবান্ধা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কোচ, বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কার-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী যানবাহন সমূহ আটকা পড়ায় যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগানসহ সদরের রংপুর বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত ওই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় চত্বর থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল দুপুর ১২টায় স্থানীয় চৌমাথা মোড়ে অবস্থান নেয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক সাধারণ শ্রমিকদের প্রতি সকল অত্যাচার-নির্যাতনসহ বে-পরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপসহ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ওই শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবু তাহের, আবুল কালাম আজাদ সাবু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব, শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের, মোখলেছ মিয়া, আকরাম, ফিরোজ, পল্লব প্রধান, শহিদুল ইসলাম, রঞ্জু মিয়া, সাইফুল ইসলাম লাজু, রাজা মিয়া, খাজা মিয়া, লুৎফর রহমান ও উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আলমগীর মন্ডল। এসময় সম্ভাব্য অপত্যাশিত কোন ঘটনা ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নির্বিঘেœ যানবাহন চলাচলসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অফিসার ইনচার্জ মজিবর রহমানের নেতৃত্বে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।