ফতুল্লায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ১১ জন বোলার ব্যবহার করলেন বিসিবি একাদশ অধিনায়ক নাঈম ইসলাম! শুভাগত হোম ছাড়া সবাই অবশ্য অধিনায়কের ‘মান’ রাখলেন। বিসিবি ‘বোলার একাদশে’র তোপে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৪১ রানে। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৮টিই তুলে নিয়েছেন স্পিনাররা। স্পিনেই যে জিম্বাবুয়েকে বধ করতে হবে, জাতীয় দলকে যেন সেই বার্তাটা আবারও দিয়ে রাখল বিসিবি একাদশ।
জবাবে দিনশেষে ১ উইকেটে ১১ তুলেছে বিসিবি একাদশ। দলীয় ৪ রানের মাথায় এলটন চিগুম্বুরার বলে কোনো রান না করেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। দিন শেষে উইকেটে আছেন শামসুর রহমান ৪ ও রনি তালুকদার ৭ রানে।
এর আগে টসে জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সফরকারী দলকে ধাক্কা দেন রবিউল ইসলাম । দলীয় ৯ রানে রবিউল ফিরিয়ে দেন ওপেনার ভুসি সিবান্দাকে। এরপর ব্রায়ান চারি ও সিকান্দার রাজার দ্বিতীয় উইকেট জুটি দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করে। সর্বোচ্চ ৬৩ আসে এ জুটিতেই। ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে জিম্বাবুয়ের উইকেট পতন। ১৩১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। অষ্টম ও দশম উইকেটে ৬৬ রান জোগান না দিলে জিম্বাবুয়ে আরও বড় লজ্জাতেই পড়ে যেত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন সিকান্দার রাজা।
তবে বিসিবি একাদশের পক্ষে এককভাবে ৩ উইকেটও পাননি কোনো বোলার। সর্বোচ্চ দুটি করে পেয়েছেন মেহেদি ও নাঈম। রবিউল, শুভাশিষ রায়, শামসুর, মার্শাল আইয়ুব, আসিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।