নিজের শরীরটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়! কিন্তু ক’জন পারে? শরীরের ওজন একটু বাড়তে শুরু করলে সবার আগে যেখানে মেদ জমতে শুরু করে সেটি হল এই পেট। আর পেটে মেদ হওয়া মানে সর্বাঙ্গিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। আসুন অন্তত নিজেকে সচেতন করে তোলার জন্য জেনে নিই ঠিক কী ধরনের অভ্যাসে বেড়ে যেতে পারে পেটের মেদ। এবং জেনে নিন কী করলে বিনা কষ্টেই এই পেটের মেদ হতে মুক্তি পাবেন আপনি।
কম ফ্যাট যুক্ত খাবার কেবল পেটের মেদের জন্য নয়, পুরো শরীরের মেদ কমাতেই জরুরী। কোন ব্যায়াম, ডায়েট কিচ্ছু লাগবে না। কেবল খাদ্য তালিকা থেকে ফ্যাট যুক্ত খাবার ঝেড়ে ফেলুন। সম্ভব হলে লো ফ্যাট ভার্সন বেছেন নিন খাবারের।
আপনি যখন যথেষ্ট ঘুমাতে পারেন না তখন আপনার শরীরে করসিটল হরমোনের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। এই হরমোনটির কারণে পেটের মেদ বেড়ে যায়। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ ঘুম দেহে লেপটিনের স্তর বাড়িয়ে দেয় যা আপনার শরীরের ক্ষুধা নষ্ট করে। এর ফলে আপনার পেটে মেদ জমতে দেয় না। তাই পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুমান, বেশী খাওয়ার অভ্যাস নিজ থেকেই কমে আসবে।
পেট পুরে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। মাছ ও মুরগির মাংস সিদ্ধ বা গ্রিল করে খাওয়া অভ্যাস করুন। প্রোটিন আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্ষুধা নষ্ট করতে সহায়তা করে। এই প্রোটিনই আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে স্লিম হতে সহায়তা করে। ডায়েট করতে গয়ে প্রোটিন খাওয়া বাদ দিলে উপাদানটির অভাব আপনার পেটের মেদ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহে এক ক্যান কোমল পানীয় পান করেন তাদের তুলনায় যারা দিনে একবার এই পানীয় পান করেন তাদের পেটের মেদ ৫ গুণ বেশি বাড়ে। এমনকি ডায়েট কোলা মেদ বাড়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। স্লিম থাকতে চাইলে এই বস্তু চিরতরে ত্যাগ করুন।
দেখা যায় যে যারা ছোট পাত্রে খাবার খান তারা কম খাবার খেয়ে থাকেন কিন্তু যারা বড় পাত্রে খাবার খান তারা বেশি খাবার খেয়ে থাকেন। এ কারণে বড় পাত্রে খাওয়া উচিৎ না যার ফলে বেশি খাবার খাওয়ার কারণে পেটের মেদ বেড়ে যায়।
যখন আমরা রাতে শুয়ে পড়ি তখন আমাদের দেহের অনেক কার্যক্রমই বিশ্রাম নিতে শুরু করে। তার মধ্যে একটি হল হজম প্রক্রিয়া। আপনি যদি রাতের খাবারটি দেরিতে খেয়ে থাকেন তাহলে সেটি আর হজম হয় না। তা ক্যালরি বাড়িয়ে পেটের মেদে পরিণত হয়ে যায়। ঘুম,আনর অন্তত দুঘণ্টা আগে খেয়ে নিন।
ভাজা যেকোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। ভাজা যেকোনো খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে। আর তাই এই জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, পেটের মেদ বাড়াতেও দায়ী। সপ্তাহে একদিন ভাজা পোড়া খান রোজ না খেয়ে। বাসায় বেক করেও খেতে পারেন স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার।