যশোর শহরের পুলেরহাট এলাকার
কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রের
কিশোরদের সঙ্গে আজ বুধবার
বিকেলে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে রায়হান
নামের এক কিশোরের
পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনার পর পাঁচ
পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার
করা হয়েছে।
পুলিশ ও কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রের
কর্মকর্তাদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ
সকালে কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রের
নিরাপত্তার
দায়িত্বে থাকা পুলিশের
হাবিলদার গোলাম মোস্তফার ১০০
টাকা ও তিনটি বিড়ি খোয়া যায়।
এ ঘটনায় এক
কিশোরকে তিনি ‘চোর’
হিসেবে আখ্যা দিলে কয়েকজন
কিশোরের সঙ্গে তাঁর কথা-
কাটাকাটি হয়। বিষয়টি কেন্দ্রের
সহকারী পরিচালক (এডি) মো.
সাহাবুদ্দিন পর্যন্ত গড়ালে তিনি এ
নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হাব
করেন। বিকেলে কিশোরেরা যখন
মাঠে খেলছিল, তখন প্রধান ফটকের
কাছে এক
কিশোরকে দেখে গালিগালাজ
করেন ওই হাবিলদার।
বিষয়টি মাঠের অন্য কিশোরদের
জানালে দলবেঁধে তারা কেন্দ্রে
নিরাপত্তায় নিয়োজিত আটজন
পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। এ
সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য
করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশও
পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের
গুলি ছোড়ে। এতে রায়হান নামের
ওই কিশোরের পায়ে গুচ্ছ
গুলি লাগে।
সে বর্তমানে কেন্দ্রের
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রের
এডি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম
আলোকে বলেন, আহত কিশোরের
গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
তার পায়ের জখম ততটা গুরুতর নয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
কে এম আরিফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের
মধ্যে পাঁচজনকে তাৎক্ষণিকভাবে প্
করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ
আটটি গুলি ছুড়েছে বলে জানান
তিনি।