ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের
বিমানে প্রথম শ্রেণির কেবিনে ভ্রমণ
না করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
সরকারি কর্মকর্তারা যদি সরকারি কাজে ব
যান এবং সঙ্গে স্ত্রীদের নিতে চান,
তবে সেই খরচ নিজেদের পকেট থেকে দিতে হবে।
ব্যয় কমাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি এক আদেশে আজ বৃহস্পতিবার এসব
নির্দেশনা জারি করেছেন।
এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব
ইন্ডিয়ার খবরে আরও বলা হয়েছে, কিছুদিন
নতুন নিয়োগ বন্ধ,
পাঁচতারা হোটেলে মিটিং না করা এবং
কার ক্রয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে।
পাঁচতারা হোটেলে মিটিং না করে ভিডিও
কনফারেন্স করতে কর্মকর্তাদের উৎসাহ
দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী মার্চ
পর্যন্ত সরকারি খরচের ১০ শতাংশ
কমানো সম্ভব হবে বলে খবরে বলা হয়েছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন,
‘আমাদের অপরিমিত খরচ কমানো উচিত
এবং এটা নিয়মিতভাবে করতে পারলে সম্পদে
ব্যবহারও যথাযথ হবে।’ তিনি বলেন,
‘সরকারের এমন পদক্ষেপের উদ্দেশ্য
হলো রাজস্ব খাতে শৃঙ্খলা আনা,
যা সরকারের দক্ষতার পরিচয় বহন করবে।’
তবে রাজস্ব
ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা বাজেট, বেতন-
ভাতা, পেনশনে সরকারে হাত দেবে না।
আগামী অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ৪ দশমিক
১ শতাংশে নামিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ নিল
মোদি সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ
অর্থনীতির দেশ ভারতকে কর আদায়
হ্রাসের কারণে গত দুই
বছরে সরকারি কাজে অতিরিক্ত ৩৩০
কোটি রুপি খরচ করতে হয়েছে।