সীমান্তবর্তী চার জেলা দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিদিনই আসছে বিপুল পরিমান ভারতীয় মদ। এ বছর চোরা চালানের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে ভারতীয় মদের চালান। সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর দিয়ে এসব অবৈধ মদ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
এ বিষয়ে বিজিবি’র চূয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরের অক্টোবর পযর্ন্ত এ ব্যাটালিয়নের অধীন ঝিনাইদহ, চূয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত পথে পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসার সময় ৩১ হাজার ৬০৮ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের বছর সীমান্ত পথে পাচার হয়ে আসার সময় বিজিবি ১১ হাজার ৫২৮ বোতল মদ উদ্ধার করছিল বলে জানান।
বিজিবি’র যশোর ২৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ব্যাটালিয়নের অধীনে যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পাচার কালে চলতি বছরের এ পযর্ন্ত ১৩ হাজার বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্ত পথে বেশি পরিমান মদ পাচার হয়ে আসছে। যে পরিমান মদ বিজিবি’র হাতে ধরা পড়ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ মদ বিজিবি’র নজরদারি এড়িয়ে দেশের ভিতরে ঢুকছে এবং সীমান্ত থেকে দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশে বিদেশি মিশনগুলো ছাড়া অন্য দেশ থেকে মদ আমদানি নিষিদ্ধ। কিন্তু ভারত থেকে চোরাপথে মদ আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদক ব্যবসায়ীরা যেকোন ব্যক্তির কাছে মদ বিক্রি করে থাকে। শুধু মদ নয়, গাঁজা, হিরোইন ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটও চোরাচালান হয়ে আসছে। তাছাড়া হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিলও বাংলাদেশে ঢুকছে। বিজিবি’র ৬ ব্যাটালিয়ন এ বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে একশ’ ৪ কেজি গাঁজা ও ৫৫ হাজার একশ’ ২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।