রুবেল, বেনাপোল প্রতিনিধ : কখনো পুলিশের সোর্স, কখনো সংবাদকর্মী আবার কখনো শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিনব পন্থায় চাঁদাবাজি জগতে তারিকুল ইসলাম মিঠু নামে বেনাপোলে নতুন এক প্রতারকের আবির্ভাব ঘটেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ বেনাপোলবাসী ও সাংবাদিক মহল। সকলের জিঞ্জাসা কে এই মিঠু?
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টাই, কোট পরে সীমান্ত অঞ্চল গুলোতে গিয়ে সে সময় টিভি, আবার কখনো যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি পরিচয়ে সীমান্তেরর বিজিবি ক্যাম্প ও ঘাট মালিকদের কাছে গিয়ে ভয়ভিতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আবার কখনো শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল ও এনজিও প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হচ্ছে ভয়ভিতী দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই ভাবে সে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে চোরাচালানীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজি করছে। তার চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বেনাপোলবাসী।
তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলে প্রাইয় সংবাদপত্র লিখে ফেনসিডিল বহন করে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া সে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নারীশিশু বহন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে সাংবাদিকদের ভাবমূর্তী নষ্ঠ হচ্ছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এমন কোন দিন নেই ওই প্রতারক তারিকুল ইসলাম মিঠুর নামে চাঁদাবাজির দু‘একটি অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনা। আসলে তার পেষা কি ? তা সঠিক ভাবে কেউ জানে না।
অন্যদিকে, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল হক জানান, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে দুই লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে বেনাপোলের ব্যবসায়ী সামাদ নামে এক জনের শালিকে বিয়ে করে। বিয়ের ৬ মাস যেতে না যেতে তাকে আবারো যৌতুকের দাবীতে শারিরীক নির্যাতন শুরুকরে। অবশেষে এই প্রতারকের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছুদিন আগে মেয়েটি তাকে তালাক দিয়েছে।
শার্শার নাভরণ সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারী রাজু আহম্মেদ বলেন, সে কোন টিভি চ্যানেলে অথবা পত্রিকার লেখালেখি করে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। অথচ বিভিন্ন সময় তাকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপকর্মের অভিযোগ পায়।
এ ব্যাপারে ২৬ বিজিবি বেনাপোল আমড়াখালি চেকপোস্টের সুবেদার মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রায়ই মিঠু নামের একজন এসে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে টাকা চায়। কিন্তু আমি টাকা দেব কেন বললে। সে বলে ঠিক আছে আমি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার তথ্যমন্ত্রণালয়ে লোক রয়েছে। এর পর আমি এ অঞ্চলের সিনিয়র কয়েক সাংবাদিকের কাছে জানতে চায় আসলে উনি কে? কেউ তাকে চেনে ন্ াবলে জানায়।
উল্লেখ্য গত ০৮ নভেম্বর শনিবার বেনাপোল পোর্ট থানায় সাংবাদিক পরিচয়ে এক আসামীর পরিবারের কাছে চাঁদাবাজির সময় স্থনীয় সাংবাদিকের হাতে সে লাঞ্চিত হয়।