নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজারীবাগের সব ট্যানারি সাভারের চামড়াশিল্প নগরে স্থানান্তরের জন্য ট্যানারি মালিকদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আদালতের নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের সমঝোতার বিষয়টি উল্লেখ করে দ্রুত ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য এ নির্দেশনা দেন শিল্পমন্ত্রী।
একই সঙ্গে যেসব ট্যানারি মালিক সাভারের শিল্পনগরে কারখানা নির্মাণ শুরু করেছেন, তাঁদের আগামী সপ্তাহ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে বিসিকের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে শিল্প খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভায় শিল্পমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পের পরিচালক সিরাজুল হায়দার বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো যেন দ্রুত সাভারে স্থানান্তর করা হয়, সে জন্য আগেও কয়েক দফা ট্যানারি মালিকদের আমরা নোটিশ দিয়েছি। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে কারখানা স্থানান্তর শেষ করার নির্দেশ দিয়ে আগামী সপ্তাহে তাদের আবারও নোটিশ দেওয়া হবে।’
ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে এই প্রকল্প পরিচালক বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে গঠিত কমিটি ১৫০টি ট্যানারিকে ক্ষতিপূরণের আওতায় এনেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই সাভারে কারখানা স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছেন। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা যত ক্ষতিপূরণ পাবেন, তার ১০ শতাংশ প্রথম কিস্তি হিসেবে আগামী সপ্তাহে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সাভারের শিল্পনগরে ১৫৫টি ট্যানারির কারখানা হওয়ার কথা। এর মধ্যে ১৫২ জন ট্যানারি মালিক কারখানার লে-আউট পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ১২৭টি ট্যানারি স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। ২২টির পাইলিংয়ের কাজ চলছে।
মন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মাণাধীন শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ৯১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই এর কাজ শেষ হবে।
সভায় সবার জন্য আয়োডিনযুক্ত ভোজ্যলবণ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালের আয়োডিনযুক্ত ভোজ্যলবণ আইনটি আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে শাহজালাল সার কারখানাসহ কোনো প্রকল্প নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।