রাষ্টীয় মালিকানাধীন বিটিভি, বেতার ও বিএফডিসি নিয়ে সংসদীয় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল, অবকাঠামো আর আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও মান ও সেবার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতার চলছে এখনও গতানুগতিক ধারাতেই। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না তথ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন এই প্রতিষ্ঠানগুলো। তাছাড়া চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও এতে কোন কৃতিত্ব নেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-এর।
গতকাল সংসদ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুনরূপে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ বাজেট আরও বাড়িয়ে সৃজনশীল অনুষ্ঠানমালা নির্মাণের লক্ষ্যে গুণী ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ.কে.এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সুকুমার রঞ্জন ঘোষ অংশ নেন। এছাড়া, তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার প্রবণতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠকে আরও জানানো হয়, গার্মেন্ট, জনসম্পদ, মৎস্য, চামড়া প্রভৃতি সেক্টরে দেশ ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এসব সেক্টরের সাফল্যগাথা নিয়ে প্রচার প্রচারণার অভাব রয়েছে।
সংসদীয় কমিটির মতে, এসব বিষয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে নতুন প্রজন্ম অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে। কমিটি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে (ডিএফপি) মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করে।