ক্রিকেট কখনো দুহাত ভরে দেয়, আবার কেড়েও নেয়! ক্রিকেটের নিষ্ঠুরতা কেবল ব্যাট-বলের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো তা চলে যায় জীবনের সীমানায়। এই যেমন—ঘরোয়া ক্রিকেটের এক ম্যাচে প্রতিপক্ষের পেসারের বাউন্সারে জীবন সংশয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফিল হিউজ। ক্রিকেটে এমন কিছু মর্মান্তিক দুর্ঘটনার গল্প শোনা যেতে পারে।
১৯৩২-৩৩ সালে কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজে ইংলিশ পেসার হ্যারল্ড লারউডের বলে মাথা ফেটে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বার্ট ওল্ডফিল্ডের।
১৯৬২ সালে ক্যারিবীয় পেসার চার্লি গ্রিফিথের বল মাথায় লাগলে মারাত্মক আহত হন ওই সময়ের ভারতের অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টর। ছয় দিন জ্ঞান ছিল না কন্ট্রাক্টরের। সেবার বেঁচে উঠলেও জীবনে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি সাবেক এ ভারতীয় অধিনায়কের।
১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়ংকর এক বাউন্সারে ইংলিশ ব্যাটসম্যান মাইক গ্যাটিংয়ের নাক ভেঙে ফেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ম্যালকম মার্শাল! ১৯৭৫ সালে ইংলিশ পেসার পিটার লিভারের বল লাগল নিউজিল্যান্ডের ইওয়েন চ্যাটফিল্ডের কপালে। চ্যাটফিল্ডের তো শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম! অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত দৌঁড়ে মাঠে ঢোকেন প্রতিপক্ষ দলের ফিজিও বার্নার্ড থমাস। চ্যাটফিল্ডের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন ইংলিশ ফিজিও।
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সমারসেটের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোখে মারাত্মক আঘাত পান মার্ক বাউচার। ইমরান তাহিরের গুগলিতে গেমাল হোসেন বোল্ড হলে বেল উড়ে গিয়ে লাগে স্টাম্প ঘেঁষে দাঁড়ানো বাউচারের বাঁ চোখে। ওই দিন রাতেই তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয় টন্টনের মাসগ্রোভ পার্ক হাসপাতালে।
বলের আঘাতে খেলোয়াড়ের মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে মাথায় বলের আঘাতে মারা যান ভারতের রমন লাম্বা। বুকে বলের আঘাতে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই মারা গিয়েছিল পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক আব্দুল আজিজ ।
Collected
Post by : Shishir Azim Akash