খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরসহ ১৩ উপজেলার ১১০ টি ইটভাটার মধ্যে ৩০টি ইটখলা ভারতের মেঘালয় থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কয়লা পাওয়ার কারণে ইটভাটায় ইট পোড়ানো কায্যক্রম আরম্ভ হয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। যদি ভারত হতে কয়লা না পায় তা হলে যেমন ইটভাটার মালিকরা কোটি কোটি টাকার লোকসান লোকসানে পড়তে পারে , তেমনি সারাদেশের কয়েক লাখ শ্রমিক বেকার ও সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা গেছে। বিভিন্ন ইটখলায় ঘোরে জানা গেছে, গত বছর প্রতিটন কয়লা ৭-৮ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। সেই কয়লা বর্তমানে ২০-২৫ হাজার টাকায় টন প্রতি বিক্রি করছে মেঘালয়। সুপ্রিম কোর্ট এর রায় দিয়েছে বিদ্যুত খাত ছাড়া কয়লা ভারত হতে আমদানী করা যাবেনা বলে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এ সমস্যার কারণে বাজিতপুর উপজেলার ১০টি ইটখলার মধ্যে ৫ টি ইটখলা কোন রকম ভা্েব আগুন দিয়ে (ইটখলার) কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৫টি ইটখলা চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। কারণ মেঘালয় হতে কয়লা আমদানি না হলে ৫টি ইটখলা হয়তো চালু না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজিতপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম গতকাল সোমবার ভোরের পাতাকে জানান, পূর্বের ক্রয়কৃত কয়লা দিয়ে ইটভাটা কোন রকমভাবে চালু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে যদি সরকার কর্তৃক কয়লা আমদানি না হয় তা হলে হয়তো তার ইটভাটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ইটভাটা চালু না থাকলে সরকারী বিভিন্ন বিল্ডিং, অট্্রালিকার রাস্তার উন্নয়ন কাজসহ সব ধরনের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তেমনি কিশোরগঞ্জ জেলাসহ সাড়া দেশের ইটভাটার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।