ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকালে টিআইয়ের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিষয়টি সম্পর্কে দুদকের অবস্থান জানতে সংস্থাটির কমিশনার সাহাবুদ্দিনের কাছে যান সংবাদকর্মীরা। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদনটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘টিআইবির পরিসংখ্যান প্রকৃত চিত্রের চেয়ে ভিন্নতর। দুদক তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নয়।’
দুদকের কমিশনার বলেন, ‘বাস্তবতার নিরিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করি না।’
দুদক ক্ষমতাসীনদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে টিআইবি যে অভিযোগ করেছে, সেটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন দুদক অনেক সক্রিয়। এ কারণে দুর্নীতির পরিমাণও কমে এসেছে।’
আজ সকালে টিআইয়ের প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের এই অবস্থান।
দুর্নীতির এই ধারণা সূচক অনুযায়ী, সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ডেনমার্কে। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯২ পেয়ে দেশটি সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। ডেনমার্ক গত বছর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ হয়েছিল। এবার ৯১ নম্বর পেয়ে নিউজিল্যান্ড তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে।
মাত্র ৮ পেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষে রয়েছে সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে সুদান ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫ নম্বর। একই নম্বর পেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে ১৪তম অবস্থানে আরও আছে গিনি, কেনিয়া, লাওস ও পাপুয়া নিউগিনি।