২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় ১.১ মিলিয়ন শিশুর শরীর থেকে হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে ৷ ইউনিসেফের এক পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এই তথ্য ৷
বিশ্ব এইডস দিবসের আগেই ইউনিসেফ এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্তও শিশুদের ক্ষেত্রে এইডস প্রায় ৪০ শতাংশ নির্মূল করা হয়েছে ৷
এইচআইভি সংক্রমিত গর্ভবতী মায়েদের শরীর থেকে শিশুর শরীরে যাতে এই ভাইরাস না ছড়ায় সেদিকেই বিশেষ করে নজর দেন চিকিৎসকরা ৷ গর্ভ থেকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে এইচআইভি চিকিৎসা করার ফলে মায়ের শরীর থেকে যেমন শিশুর ছড়িরে ভাইরাস ছড়াতে পারেনি তেমনই মায়েরও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ আফ্রিকার মালাউই, ইথিওপিয়া, জিম্বাবোয়ে, বোস্টওয়ানাসহ মোট আটটি দেশে এই পরীক্ষা চালান হয়৷ যদিও ২০১৩ সালেও অর্থনৈতিক দিক থেকে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ গুলিতে এখনও প্রায় ৬৭ শতাংশ গর্ভবতী মহিলার এইচআইভি সংক্রমণ রয়েছে ৷
এই পরিসংখ্যানে আরও দেখা গিয়েছে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বে ১৫ বছরের কম বয়সি ১৯০,০০০ জন শিশু এইডস সংক্রান্ত কারণেই সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারিয়েছে ৷ ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্থনী লেক বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই ১.১ মিলিনয় শিশুকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পেরেছি আমরা বাকি সমস্ত শিশুকেও এই রোগ থেকে বাঁচাতে পারব যদি সঠিক সময়ে আমরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারি ৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে৷ আমাদের প্রত্যেক মা, নবজাতক, শিশু ও কিশোরের কাছে পৌঁছে তাদের শরীর থেকে এইচআইভি নির্মূল করতে হবে ৷ এতেই আমরা সকলের জীবন সুরক্ষিত ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারব’৷
Posted by Ab Emon