কানের পর্দার একটা স্থায়ী অসামঞ্জস্য তৈরি হলে কানপাকা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইতিপূর্বে সংঘটিত মধ্যকর্ণের আকস্মিক প্রদাহের কারণেও হতে পারে। এমনকি মধ্যকর্ণের ঋণাত্মক বায়ু চাপের কারণে অথবা সেখানে পানি জমে থাকার কারণে এ রোগের আশঙ্কা থাকে। ডাক্তাররা এ রোগকে ডাকেন COM অর্থাৎ ক্রনিক অটাইসিস মিডিয়া। সক্রিয় এবং অপেক্ষাকৃত নিরুপদ্রব এই দুই ধরনের মিলিয়ে শতকরা ৪.১ ভাগ লোককে এ রোগে ভুগতে দেখা যায়। এর মধ্যে ৩.১% রোগীর দুই কানে এবং ১% রোগীর এক কানে রোগটি দেখা যায়। বাংলাদেশে এই হার ৫-৬%। ৪১ থেকে ৮০ বছর বয়সের যারা ১৮-৪০ বছরের তুলনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তাদের দ্বিগুণ। কায়িক শ্রমনির্ভর পেশার মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আলাস্কার আদিবাসীরা অধিক আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসা : কান পরিষ্কার রাখা, কানের ফোঁটা : সিপ্লোফ্লক্সিসিন, জেসনটামাইসিন, নিউমাইসিন, পলিমিঙিন জাতীয় ওষুধ ফোঁটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর সঙ্গে স্টেরয়েড এবং ছত্রাক-বিরোধী ওষুধ প্রয়োজনবোধে সংযোজিত হতে পারে। টনসিল, এডিনয়েড ও নাকের সমস্যা থাকলে বিহীত করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
Post by আশিকুর রহমান চৌধুরী স্বদেশনিউজ২৪.কম(collected)
–