বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় আহত যুবলীগ নেতা তুজাম(৩৫) সোমবার ভোরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত তুজাম শার্শা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নাভরণ বুরুজবাগান গ্রামের সিরাজ হোসেনের ছেলে।
এই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে নাভারণ বাজারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার ও তার স্বজনদের ৪টি বাড়িতে আগ্নিসংযোগ করেছে দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এসময় তারা নাভরণ-সাতক্ষীরা ও বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করলে এ সড়কে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল । পরে পুলিশ এসে হত্যাকারীদের ৫ ঘন্টার মধ্যে আটকের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা দুপুর ২ টার পর থেকে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
খবর পেয়ে শার্শা ও ঝিকরগাছার দুটি দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে রওনা হলেও ছাত্রলীগের একাংশ ও যুবলীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বাঁধার মুখে তারা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনায় নারী,পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছে। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।
শার্শা ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন জানান, হত্যাকারীদের আটক না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়ছেনা। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি রহিমের ফাঁসির দাবীতে সড়কে টায়ার জ্বালীয়ে ও কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ কারীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শহিদার রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি সালিশ মীমাংসাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রহিম গ্রুপের কর্মীরা তোজাম হোসেন ও আসাদ নামে ২ যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত তোজাম কে প্রথমে যশোর আড়াইশো বেড হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তোজাম সেখানে মারা যায়। সোমবার সকালে তোজামের মৃত্যু খবর এলাকায় পৌঁছালে তোজামের সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে নাভারণ বাজারে ছাত্রলীগ সভাপতি রহিম সরদার ও তার স্বজনদের ৪টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
রুবেল আহম্মেদ,বেনাপোল (যশোর)