আমরা অনেকেই হয়ত জানি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্তক মরনব্যাধি রোগ হল ক্যান্সার বা কর্কটরোগ।আর এই রোগ হয়ে থাকে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে ।এই সকল কোষের ভিতর তখন চারিত্রিক কিছু পরিবর্তন ঘটে৷ আশেপাশের স্বাভাবিক কোষের থেকে এগুলো সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে পরে এবং কাজেও অসাভাবিকতা দেখা দেয়৷
এসকল কিছু মিলেই দেখা যায় শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গে বা অংশে অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটেছে – একেই বলা হয় টিউমার৷ ক্যান্সার সাধারণত কতোটুকু ছড়িয়ে পরেছে এবং কয়টি লসিকা গ্রন্থি আক্রান্ত হয়েছে সেটার উপর নির্ভর করে ক্যান্সারের ভয়াবহতা নির্ধারণ করা হয়৷ বর্তমানে অতিউন্নত পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে আমরা প্রথম পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করে তার চিকিত্সা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারি৷ ক্যান্সারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার মধ্যে আছে-আক্রান্ত স্থান হতে কোষ নিয়ে বায়োপসি, সিটিস্ক্যান, টিউমার মারকার৷ তাছাড়াও এক্সরে, এন্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফি বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব৷এখন পর্যন্ত আই রোগে মৃত্যুর হার অত্তাধিক বেশী ।বর্তমানে প্রায় ২০০ প্রকারের ক্যান্সার বা কর্কটরোগ রয়েছে ,আর প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা।
এবার গবেষকরা চমকে দিতে যাচ্ছেন , কারন আবিষ্কৃত হতে যাচ্ছে মরনব্যাধি ক্যান্সার রোধে এর বিশেষ এক ধরনের ফল। যেটি পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রেইনফরেস্ট এ। আট বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর ব্রিসবেনের একটি ইন্সটিটিউট এই ফল আবিষ্কার করেছে।ঘাড় ও মাথার টিউমার ধ্বংস করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের এমনটিই দাবী করছেন গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত ওই ফল থেকে তৈরি একটি ওষুধ ৩০০ টি প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে যেই ড্রাগ দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে তার নাম হল ইবিছি-৪৬। যেটি কিনা পাওয়া যাচ্ছে শুধুমাত্র এথেরটন টেবিলল্যান্ড এ। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না।
তবে এই ফল থেকে ওষুধ তৈরি করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই ওষুধের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে বিজ্ঞানীদের যা আরও বেশি চমক দিয়েছে, এটি সেবন করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেখানে টিউমার টি হয়েছিল সেই যায়গাটা কাল হয়ে যাচ্ছে এবং ১.৫ সপ্তাহর মধ্যে একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে টিউমারটি ।এটি যে সফলভাবে কাজ দিবে তা নিয়ে গবেষকরা আশাবাদী ।
Posted by Ab Emon