ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের ৪০৮ রানের জবাবটা মোটামুটি ভালোই দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবটা আরও ভালো হতে পারত যদি অন্তত দুটো উইকেট কম হারিয়ে দিন শেষ করতে পারত তারা। তার পরও দিনশেষে স্কোরবোর্ডে স্বাস্থ্যকর সংগ্রহই দেখছে অস্ট্রেলীয়রা। ৪ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানটা কিন্তু একেবারেই মন্দ কিছু নয়।
অস্ট্রেলিয়ার রান সংগ্রহের গতি ছিল দুর্দান্ত। দিনশেষে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে একটু অবাকই হতে হচ্ছে। টেস্ট ম্যাচে ৪.২৫ হারে রান তোলার ব্যাপারটি কিন্তু জানান দিচ্ছে কতটা ইতিবাচক তারা। ইতিবাচক বোলিং দেখা গেছে ভারতের তরফেও। অ্যাডিলেড টেস্টে বাইরে বসে থাকা উমেশ যাদব তাঁর অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন দারুণভাবেই। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহে লাগামটা টেনেছেন এই জোরে বোলারই।
অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান দুজনের। ক্রিস রজার্স খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু ৫৫ রানে যাদবের বলে উইকেটরক্ষক-অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়ে অকালে শেষ হয়েছে তাঁর ইনিংসটি। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ অবশ্য ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিনটা পার করে দিয়েছেন।
এই দুজনের সঙ্গে আসতে পারত আরও কয়েকটি নাম। অ্যাডিলেডের রাজা ডেভিড ওয়ার্নার ২৮ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ওই যাদবের বলেই। তিনি ক্যাচ দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। শেন ওয়াটসন তাঁর সম্ভাবনাময় ইনিংসটির যবনিকাপাত করেছেন অশ্বিনের বলে শিখর ধাওয়ানের ক্যাচ হয়ে। চা-বিরতির পর শন মার্শ ৩২ রান করে স্লিপে অশ্বিনকে ক্যাচ দেন উমেশ যাদবের বলেই।
দ্বিতীয় দিনশেষে অস্ট্রেলিয়া এখনো ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ১৮৭ রানে। ভারত তাদের ইনিংস শেষ করে ৪০৮ রানে।
প্রথম দিনশেষে ৪ উইকেটে ৩১১ রান নিয়ে খেলতে নেমে ভারতের ইনিংস বেশিদূর এগোতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্বপ্নের অভিষেক হয়েছে জশ হ্যাজেলউডের। তাঁর দখলে নেওয়া ৫ উইকেটের কল্যাণেই ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৯৭ রান যোগ করেই। আগের দিন ৭৫ রানে অপরাজিত অজিঙ্ক রাহানে ফেরেন আর মাত্র ৬ রান করে (৮১)। রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির দুটো ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসের সঙ্গে যুক্ত হয় অশ্বিনের ৩৫। ভারতের শেষ তিন ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত অবদান ছিল মাত্র ১৪।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দারুণ অভিষিক্ত হ্যাজেলউড ২০০০ সালের পর ষষ্ঠ অস্ট্রেলীয় বোলার যিনি অভিষেকেই ৫ উইকেট নিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেকেই ৫ উইকেট নেওয়া ৩৫তম বোলার তিনি। ব্রিসবেন টেস্ট ক্যারিয়ারে একটা বিশেষ জায়গাজুড়ে থাকবে অস্ট্রেলীয় সহ-অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্র্যাড হাডিনেরও নাম। এই টেস্টে ছয়টি ডিসমিসালে অবদান তাঁর। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো কমপক্ষে পাঁচটি ডিসমিসালের অনুষঙ্গ হওয়ার দারুণ একটা কীর্তিও নিজের করে রাখলেন তিনি।
Post by : Shishir Azim Akash