ইয়াবাসহ মাদক পাচার ও সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করা বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পথ খুঁজেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডারগার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
সম্মেলন নিয়ে বিজিবি’র মহাপরিচালক সন্তোষ প্রকাশ করলেও দু’দেশের সীমান্তে সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি কোন আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবেনা বলে মত নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তভুমি বিশ্বের প্রান্তিক এলাকা। বর্তমান বিশ্বের শক্তির তালিকায় দু’দেশের কোনটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বিসিআইএম, রোহিঙ্গা ও চোরাচালান ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে উঠেছে আলোচিত। এছাড়া এবছর সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি কর্তৃক বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে এ মাসে বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হল অতিরিক্ত মহাপরিচালক পর্যায়ের চারদিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন। যেখানে বর্ডারগার্ড পুলিশের ৬ সদস্যের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব পুলিশ থিং উ।
এবারের সম্মেলনে আলোচনায় উঠে আসে ৫ টি বিষয়।
১. অবৈধ মাদক বিশেষ করে ইয়াবা পাচার রোধ।
২. মহাপরিচালক পর্যায়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠক ও নিয়মিত পতাকা বৈঠক।
৩. পূর্ব ঘোষনা ছাড়া সীমান্তে বিজিপি’র ফায়ারিং এর ঘটনা।
৪. অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ।
৫. উভয় বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ বিনিময়সহ আস্থা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের কাছে প্রশ্ন ছিল সম্মেলনের সফলতা নিয়ে। তিনি জানান, দু’বাহিনীর মধ্যে বৈরি ভাব থাকলে সীমান্ত কখনোই শান্ত থাকেনা’। তিনি আরও জানান, বিজিপি’কে তারা যেই সকল বার্তা দিয়েছে সেগুলো তারা ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে’।
এদিকে সহসাই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কোন সম্ভাবনা নেই বলে মত এই নিরাপত্তা বিশ্লেষকের।
এই বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যপারে কখনোই ভাবা হয়নি, এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ও সীমান্তে অবৈধ ব্যবসা একটি বড় সমস্যা এবং এই দুটিই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা যাচ্ছে’।
এবছর মে মাসে বিজিপি কর্তৃক বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমান নিহতের পর জুন মাসে মিয়ানমারের নেপিত’তে অনুষ্ঠিত হয় দু’দেশের মাঝে প্রথম সীমান্ত সম্মেলন।