মর্যাদার লড়াইয়ে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ফতুল্লায় দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করে মোহামেডান। জবাবে নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে, ২ বল আগে জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।
আবাহনী-মোহামেডান লড়াই মানেই মর্যাদার লড়াই। যেখানে আবাহনী লক্ষ্য আরও একটি জয় তুলে নিয়ে শিরোপার দিকে এগিয়ে যাওয়া, আর মোহামেডানের লিগ পর্বে আবাহনীর বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নেয়ার। তবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে, আবাহনীর পেসার শুভাশীষকে সামলাতে হিমশিম খায় মোহামেডানের টপ অর্ডার।
স্কোর বোর্ডে ৩৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডান। তবে ৫ম উইকেটে নাঈম ইসলাম ও আরিফুল হকের ব্যাটে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে তারা। দেখে শুনে ব্যাট করে দলের স্কোর এগিয়ে নিতে থাকেন এই দু জন। নাঈম ইসলাম ফিফটি তুলে নিয়ে ৫১ রানে আউট হলেও, অপর প্রান্তে দারুণ খেলতে থাকেন আরিফুল ইসলাম। ১৩১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম লিস্ট এ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে তিনি। মাশরাফির ২৭ বলে ৩৮ ও আরিফুলের ১০৯ রানে, ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় মোহামেডান।
জবাবে দলীয় ৩৩ রানেই আবাহনীর দু ওপেনারকে ফিরিয়ে মোহামেডানকে দারুণ সূচনা এনে দেন সাজেদুল ও মাশরাফি। কিন্তু ৩য় উইকেটে ফরহাদ ও রকিবুল জুটির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে আকাশী-হলুদ জার্সীধারীরা। রকিবুল ২৯ ও ফরহাদ ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি চামারা সিলভাকে ২৫ ও মোসাদ্দেককে ২ রানে ফিরিয়ে দিলে, আবারো ম্যাচের পাল্লা হেলে যায় মোহামেডানের দিকে। কিন্তু তখনো উইকেটে ছিলেন নাসির। মর্যাদার লড়াইয়ে জয় পেতে পুরো দল তাকিয়ে ছিল, ফিনিশার নাসিরের দিকেই।
দলকে হতাশ করেন নি তিনি। ৫টি করে চার-ছয়ে, মাত্র ৬৯ বলে ৮২ রানের মারকুটে এক ইনিংস খেলেন নাসির। দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়। ফলে এই মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২য় জয় পায় আবাহনী। ম্যাচ সেরা হন এবারের লিগে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা নাসির হোসেন।