দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের সেতু বিভাগের উপ-সহকারী (সিনিয়র) প্রকৌশলী জাহাঙ্গির আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এস আর হাউজ’ কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বন্ধুদের সঙ্গে খেলার এক পর্যায়ে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শিশুটি রেলওয়ের পরিত্যক্ত ওই কূপে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলের ডিরেক্টর অপারেশন মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, ক্রেনদিয়ে পাইপ তুলে কেটে ফেলা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি পাইপ তুলেও ফেলা হয়েছে। যেকোনো উপায়ে আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাইপটি চওড়ায় খুব কম হওয়ায় ভেতরে কাওকে পাঠানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এর আগে রশি ফেলে নানাভাবে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে তোলা যায়নি। আমরা সাড়ে ৯টার দিকেও শিশুটির আওয়াজ শুনেছি, তার সঙ্গে নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা চলছে। তাকে খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর কর্মীদের পাঠানো রশি ধরে সে সাড়া দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গর্তটি গত এক-দেড় বছর ধরে পাইপটি পরিত্যক্ত ছিল।
শিশুটির বাবা নাসিম উদ্দিন জানান, বিকেল চারটার দিকে সে পড়ে যায়। বিকেলে দুই বন্ধুর সঙ্গে খেলা করছিল সে। কূপের মুখ খোলা থাকায় খেলার এক পর্যায়ে তার ছেলে নিচে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাচ্চাটিকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ব্রজেন কুমার সরকার জানান। পরে আরো দুটি ইউনিট যোগ দেয়। শিশুটিকে উদ্ধারে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
শাহজাহানপুর থানার ওসি মেহেদী হাসান বলছেন, ওয়াসার পরিত্যক্ত ওই পাইপ কয়েকশ ফুট গভীর। তবে পাশের যে গর্তে শিশুটি পড়েছে তার পরিসর মাত্র ১৪ ইঞ্চি হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, শিশুটির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলা সম্ভব হয়েছে। ডাকলে সে সাড়া দিচ্ছে। তার জন্য খাবার ও অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (সদর দফতর) দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহজাদী সুলতানা জানান, শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে রয়েছে। ইতোমধ্যে ওই কূপে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে।
স্বদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে জিয়াদের জন্য দোয়া জিয়াদ যেন আমাদের মাঝে সুস্থভাবে ফিরে আসবে ইনশাল্লাহ।