রাজধানীর ফুটপাত ও রেললাইনের পাশের অবৈধ স্থাপনা ও দোকান পাট উচ্ছেদে কদিন পরপরই অভিযান পরিচালনা করে আসছে সিটি কর্পোরেশন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উচ্ছেদের কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও দখল হয়ে যাচ্ছে সেই স্থান।
এই অবস্থায় উচ্ছেদের পর ফুটপাত পুনর্দখল ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন। অন্য দিকে রেললাইনের পাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুলিশ চৌকি স্থাপন করবে রেলওয়ে পুলিশ। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে হকারদের সম্পৃক্ত করে কার্যকরী পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত ও মানুষের চলাচল সহজ করতে রেল লাইনের পাশে ও শহরের ফুটপাত গুলোতে কদিন পরপরই উচ্ছেদ অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান চালানোই যেন সার। কয়েকদিনের মধ্যে তা আবারো চরে যাচ্ছে দখলকারীদের হাতে। আবারো ভোগান্তি শুরু হয় পথচারীদের। তবে, উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, উচ্ছেদের পর পুনর্দখল ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট ও পুলিশ চৌকি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন ও রেলওয়ে পুলিশ।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর)-এর প্রধান নির্বাহী বি এম এনামুল হক বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল করে থাকাদের উচ্ছেদ করার কিছুদিন পরই আবার নতুন কেউ না কেউ এসে দখল করে ফেলে। এরা কেউ আইন মানেনা, তাই তাদের বিরুদ্ধে এখন থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
কমলাপুর জিআরপি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমরা আগে এখানে শুধু টহল দিতাম কিন্তু এখন থেকে আমরা এখানে স্থায়ী চৌকি নির্মাণ করে দেখভাল করবো।’
নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে এর সঙ্গে হকার ও দোকানীদের সম্পৃক্ত করে কার্যকরী পরিকল্পনা নিতে হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘প্রতিবছর এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে দরিদ্র প্রান্তিক মানুষ তাদের সব হারাচ্ছে, কিন্তু মূলত যারা এইসব নিয়ে ব্যবসা করছে তারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এভাবে উচ্ছেদ না চালিয়ে সবার উচিত একটা পরিকল্পনা মাফিক কাজটাকে এগিয়ে নেয়া।’
তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে সেখানে ফুটপাত ও সরকারি জমি দখল ঠেকানো অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।