একটি কথা আছে, নামাজকে বলনা আমার কাজ আছে বরং কাজকে বল আমার নামাজ আছে, এরই ধারাবাহিকতা হিসেবে চলে আসছে ঢাকার মহাখালীতে হোসাফ টাওয়ারে অবস্থিত জহুর এন্ড মোস্তাফিজ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ফার্মে। যার কর্ণধার জহুরুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। দু’জনই চার্টার্ড এাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ) করা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ফার্ম গড়ে উঠেছে যেখানে শত শত ছেলে-মেয়ে স্টুডেন্ট হিসেবে নিয়োজিত। অবাক করার বিষয়! সেই ফার্মে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অত্র অফিসে এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশে নামাজ পড়ার স্থান তৈরী করেছেন যা দেখে অবাক হওয়ার মতো। যোহর, আসর ও মাগরিব এই ৩ ওয়াক্ত নামাজ আযান সহকারে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। নামাজ আদায়ের জন্য এজন বুজুর্গ আলেম নিয়োগ দেয়া হয়েছে যিনি কিনা জামাতের সহিত নামাজ আদায় করান। তার চেয়ে অবাক করার বিষয় প্রতিদিন যোহরের নামাজের আগে দৈনন্দির জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে হাদিস কোরআনোর আলোকে মাওলানা সাহেব বিভিন্ন হাদিস পাঠ করেন যা কিনা বাস্তব জীবনের সাথে সামজস্য। প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্ণধার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোন সমস্যায় সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাদের অবাক করার মতো একটি বাণী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আমার অফিসের সকল কাজের উর্ধ্বে আগে সালাত আদায় করা তার পর অফিসের কাজ। আরেকটি অবাক করার বিষয় যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি সহিশুদ্ধ ভাবে কোরআন শরিফ তেলোয়াত করতে চায় অথবা শিখতে চায় তার জন্য প্রতিদিন আসরের পর একজন হাফেজের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে তার ব্যবস্থা করেছেন। এসব কর্মকান্ড দেখে আজ আমি অভিভুত এবং তার সাথে সাথে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য ও কর্ণধার দুইজনের জন্য, আল্লাহ যেন তাদের প্রতিষ্ঠানটির উত্তোরোত্তর উন্নতি সাধন করেন, সাথে সাথে তাদের এই দৃষ্টান্ত যেন দেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী অফিসে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামাজ আদায়ের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
খুরশেদ আলম মিল্টন
নির্বাহী পরিচালক
সৃজন ফাউন্ডেশন