চট্টগ্রামে সোমবার ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিলো বিএনপি’রই একটি অংশ। নগর কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় এ অংশের সাথে সংঘাতে যোগ দিয়েছিল জামায়াত-শিবির। মাঠ পর্যায়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়ার পাশাপাশি শক্তি প্রদর্শনে ৫ জানুয়ারির এ সমাবেশকে টার্গেট করেছিল জামায়াত-শিবির। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ অনুসন্ধান করে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে পুলিশের বিশেষ অনুমতি পেয়েছিলো বিএনপি। দু’ঘন্টার বেশি সময় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলার এক পর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে কাজীর দেউড়ি মোড়ে অবস্থান নেয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এরপরই সেখানে আসে নগর বিএনপি’র কমিটিতে স্থান না পাওয়া বিএনপি নেতাদের অনুসারীরা। আর সেখান থেকেই সূত্রপাত ঘটে সংঘর্ষের। ফলে পণ্ড হয়ে যায় পুরো সমাবেশ।
সিএমপি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) আবদুর রউফ বলেন, ‘কাজীর দেউড়ি মোড়ে অবস্থান করেছিল জামায়াত-শিবিরের একটা অংশ এবং বিএনপি’র বড় একটা অংশ। সেখান থেকেই মূলত পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।’
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘কাজীর দেউড়ি মোড়ে অধিকাংশই ছিল জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তারা যোগ দেওয়ার পরই সমাবেশের পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে।’