১৯৬৫ সাল। বলিউডের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। যশ চোপড়া প্রযোজিত ওয়াক্ত ছবিটি বক্স অফিস তোলপাড় করা ব্যবসা করে। ছবির ‘অ্যায় মেরি জোহরা জাবি’ গানটি বড় থেকে শুরু করে ছোট্ট বাচ্চা পর্যন্ত—সবার মুখে মুখে ঘুরেছিল। সাড়া ফেলেছিল দেব আনন্দের ছবি গাইডও। বলিউডবোদ্ধারা জানিয়ে দিলেন, এ বছরের সাফল্যের প্রভাব অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত বলিউডে ছেয়ে থাকবে। একই কথা বলেছিলেন জ্যোতিষীরাও। তবে তাঁরা খুব জোর দিয়ে বলতে পারেননি, সেই সাফল্যটি আসলে কী? আজ ৫০ বছর পর জ্যোতিষীরা জোর গলায় বলতে পারছেন, সত্যিই ১৯৬৫ সাল অনেক ‘বিশেষ’ ছিল বলিউডের জন্য!
কী অদ্ভুত, তাই না? বক্স অফিস সব সময় যাঁদের সম্পর্ককে সংখ্যার হিসাবে বেঁধে এসেছে, ভাগ্যরেখাই তাঁদের বেঁধে দিয়েছে সংখ্যার এক অদ্ভুত গাঁটে। ১৯৬৫ সাল। কে জানত এই বছরটি বলিউডের ওপর প্রভাব ফেলবে এতটা? একই বছর জন্ম নেবেন আমির খান, শাহরুখ খান, সালমান খান নামের তিনজন, যাঁরা একসময় রাজত্ব করবেন বলিউডে। অবাক করার মতো হলেও সত্যি, একই বছর জন্ম নিয়েছিলেন এই তিন খান। তাঁদের মধ্যে সবার আগে আমির ১৪ মার্চ, এরপর শাহরুখ ২ নভেম্বর আর সবশেষ জন্ম নেন সালমান ২৭ ডিসেম্বর—সব ১৯৬৫ সালেই। তাই হয়তো ভাগ্যরেখায় লাভ-ক্ষতির হিসাব তাঁদের এতটা মিলে যায়।
মিল শুধু জন্মসালেই নয়, আরও অনেক দিক থেকেও কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তিন খানের ভাগ্যরেখা। এই তিন খানের ক্যারিয়ারের বড় মোড় কিন্তু ঘুরেছিল একই সময়ে, ১৯৮৮ সালে। ওই বছর ‘ফৌজি’ টিভি সিরিজ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন শাহরুখ খান। একই বছর বেশ হাঁকডাক করে নায়ক হিসেবে বলিউডে নাম লেখান আমির খানও, ছবির নাম কেয়ামত সে কেয়ামত তক। তৃতীয় খান সালমানও অভিনয়জীবন শুরু করেন একই বছর, বিবি হো তো অ্যায়সি ছবিতে সংক্ষিপ্ত একটি চরিত্র দিয়ে।
১৯৮৮ সাল, সেই যে শুরু। এরপর কেটে গেল দুই দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু থামেনি তিন খানের জয়রথ। বরং দিনের পর দিন তাঁদের প্রতাপ আরও বেড়েই চলেছে। তাঁদের সামনে অন্য খান, রোশন কিংবা কুমাররাও নিজেদের আজ পর্যন্ত মেলে ধরতে পারলেন না। জ্যোতিষীরা তো তাই আজও বলছেন, এ সবই ভাগ্যরেখার খেলা। তা না হলে বলিউডের এ সময়ের তিন কান্ডারি, তিনজনেরই একই বছরে জন্ম! তাই তো বলিউডপ্রেমীরা বছরের শুরু থেকেই অঙ্কের সমীকরণ একটু ফিল্মিভাবে করছেন। ‘৫০ + ৫০ + ৫০’ এর যোগফল তাঁদের কাছে এখন ‘৩ খান’, ১৫০ নয়!