২০১৩ সালে নাশকতার সাথে জড়িতরাই জামিনে মুক্তি পেয়ে রেললাইন এবং মহাসড়কগুলোতে আবারো নাশকতার চালাচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলন্ত যানবাহন ভাংচুর এবং আগুন দেয়ার পাশাপাশি রেললাইন কেটে ফেলছে বলে দাবি পুলিশের।
এ অবস্থায় জামিন প্রাপ্তদের ওপর নজরদারী এবং স্পটভিত্তিক নাশকতাকারীদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের জন্য থানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সময় ২০১৩ সালের শেষ দিকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ব্যাপক নাশকতার সৃষ্টি করেছিলো বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া ছিলো নাশকতাকারীদের দখলে।
একই সাথে দখল করেছিলো বিস্তৃত রেললাইনও। কিন্তু বর্তমানে তাদের অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো নাশকতা সৃষ্টি করছে। অবরোধে তাদের তৎপরতা চোখে পড়ছে বেশি বলে মনে করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিআরপি পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, ‘যারা আগের মামলাগুলোর আসামি ছিল তার বাইরেও অনেক মানুষ আছে যারা অন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তারা হয়তো এ ধরনের কার্যক্রম করছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আকতার বলেন, ‘যারা যারা নতুন করে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছ তাদেরকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
তবে আদালতের মাধ্যমে জামিন পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আকতার বলেন, ‘একটি মামলার কার্যক্রম যখন চলে, তখন তার জামিন পাওয়াটাও অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবে তাদের ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।’
এ অবস্থায় চলমান নাশকতা প্রতিরোধে স্পটভিত্তিক নাশকতাকারীদের শনাক্তের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাশকতাকারীদের গ্রেফতারের জন্য আমরা শক্তিশালী একটি টিম গঠন করেছি।’
৬ জানুয়ারী থেকে বিরোধীদলের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর মহাসড়ক এবং রেলপথে নাশকতার ঘটনায় পুলিশ ১৫টি মামলা এবং ৩০টির বেশি জিডি করেছে। আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১০০ জনকে।