পে স্কেল ঘোষণার আগে এমপিওভূক্তির কার্যক্রম শুরু না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। সকল শর্ত পূরণের পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ লক্ষাধিক শিক্ষক এমপিওভূক্ত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের। এদিকে, সরকারের কাছ থেকে তহবিল পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
বছরের পর বছর ননএমপিও শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নিজেদের এমপিওভূক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এ সময় গ্রেফতারসহ নানা নির্যাতনের স্বীকারও হয়েছেন তারা। এমপিও হবার সকল শর্ত পূরণের পরও হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ১২ বছর ধরেও এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
আগামী জুনে পে স্কেল ঘোষণার আগেই এমপিওভূক্তির কার্যক্রম শুরু না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচল করে আবারো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ এশারত আলী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পে স্কেল ঘোষণার পূর্বেই সারাদেশের সকল ননএমপিওভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তি করার ঘোষণা না দিলে সারাদেশের শিক্ষক সমাজ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে একযোগে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
সরকারি সংস্থা ব্যানবেইজ এর সর্বশেষ জরিপে জানা যায়, সারাদেশে আট হাজারের অধিক ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মরত। ২০১০ সালে ১৬২৪ টি প্রতিষ্ঠান এমপিও হবার পর এই প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বরাবরের মত এবারও তহবিলের অভাবকেই মূল প্রতিবন্ধকতা বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, টাকা পেলেই এগুলো করা যায়, এই বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে তবে এটি নির্ভর করে সরকারের অর্থ ছাড়ের উপর।’
আগস্টের শেষে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে এমপিওভূক্তির নির্দেশ দিলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।