‘বিজিবি মানুষ হত্যা করতে চায় না।
সে ধরনের নির্দেশও বিজিবির ওপর
নেই। তবে মানুষ
হত্যা করতে দেখলে এবং নিজে আক্র
হলে জীবন বাঁচানোর
তাগিদে যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত
করবে। আক্রান্ত হলে সে নিজের
অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে, এটা তার
অধিকার।
মনে রাখতে হবে বিজিবির
হাতে থাকা সব অস্ত্রই প্রাণঘাতী।’
হরতাল-অবরোধে দায়িত্ব পালনের
ব্যাপারে এমনই মনোভাবের
কথা জানান বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের (বিজিবি)
মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর
জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর
পিলখানায় নিজের
কার্যালয়ে সংবাদ
সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির পদস্থ
কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান রাজনৈতিক
পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?—
এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক
বলেন, এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে।
৩৫টি জেলা প্রশাসক
বিজিবি মোতায়েনের জন্য অনুরোধ
করেছেন। আমরা ১৭টি জেলায়
বিজিবি মোতায়েন করেছি।
জেলা প্রশাসকদের আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়তা যাচ
করে বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।
কিছু কিছু জায়গায়
বিজিবি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে,
প্রয়োজনে নামানো হবে।
হরতাল-অবরোধে কত বিজিবি সদস্য
মোতায়েন করা হয়েছে—
জানতে চাইলে বিজিবির
ডিজি বলেন, আপতত ৮৫ প্লাটুন
(প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) মোতায়েন
করা আছে। আরও ৮০ প্লাটুন মজুদ
রাখা হয়েছে। দরকার হলেই তাদের
নামানো হবে।
এভাবে বিজিবি কতদিন দায়িত্ব
পালন করবে—
জানতে চাইলে তিনি বলেন,
সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে বিজিবির
গাড়ির পাশে ককটেল বিস্ফোরণের
মতো ৩-৪টি ঘটনা ঘটলেও,
তাতে কোনো হতাহতের
ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের
কারণে রাস্তায় যান চলাচলেও
নিরাপত্তা দিচ্ছে বিজিবি।
জনগণকে ‘সেন্স অব সিকিউরিটি’
দেওয়ার জন্য যতদিন দরকার ততদিন
বিজিবি মাঠ পর্যায়ে কাজ
করে যাবে। তিরি আরও বলেন, একজন
পেট্রোল বোমা মারছে তা দেখার
পর কী করা উচিত, সেটা আপনারাই
বলুন। তাকে কী প্রতিহত করার দরকার
নেই? তিনি বলেন,
কাউকে বোমা মারতে দেখলে তাক
সেটা চিন্তাভাবনা করে দেখার
সময় এসেছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিজি মেজর
জেনারেল আজিজ আহমেদবলেন,
বুধবার
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর
ছয়টা পর্যন্ত মহাসড়কগুলোতে প্রায় ৩৫
হাজার যান চলাচল করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য
সদস্যদের সঙ্গে যান চলাচলের
নিরাপত্তায়
বিজিবি সদস্যরা সহায়তা করছে।