বিএনপি-জামাতের চলমান নাশকতার প্রতিবাদ জানাতে নাশকতার শিকার, পেট্রোলবোমার আগুনে নিহত জ্বলসানো সাধারণ মানুষের প্রতীকী শববাহী গাড়ি নিয়ে মোটর র্যালি করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফ।
শনিবার দুপুরে বিবেককে নাড়া দেয়ার মতো এই শোভাযাত্রা নগরীর আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, প্রেসক্লাব, আন্দরকিল্লা, লালদিঘীর পাড়, নিউমার্কেট, মাঝিরঘাটসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এমএ লতিফ এমপির দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুলে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
র্যালি শেষে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এমএ লতিফ উপস্থিত জনগণের কাছে এসব প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আগে জীবন, পরে গণতন্ত্র। যারা পেটের দায়ে জীবন সংগ্রামে বের হওয়া ক্ষুধাতুর মানুষকে বোমা মারে, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সময়ে হরতাল ডাকে তারা আর যাই হোক জাতির উন্নতি চায় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা আন্ডার ম্যাট্রিক হওয়ায় শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কেন আমাদের নিষ্পাপ ছাত্র-ছাত্রীরা অন্ধ ক্ষমতার রাজনীতির বলি হবে?’
র্যালিকে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল আলম মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের অন্যতম সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, লবণ শ্রমিক লীগ সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, শ্রমিক নেতা শফি বাঙালী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বন্দর শাখার সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ বাদল, ছাত্রনেতা নায়েবুল ইসলাম ফটিক, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বাবলা, মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন খোকন, মো. ইউনুস, ফজলুল করিম শাহেদ, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম দোভাষ, সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল হক (ফজল), সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজউদ্দৌলা সিরু, হাজী আবদুল মালেক, দিদার উল্লাহ দিদার, নিধু পালিত, একেএম. আক্তার প্রমুখ।