দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ। তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও গাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় তাকে জড়ানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্মিতিত পেশাজীবী পরিষরে পক্ষ থেকে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এরকম একজন বয়োজ্যেষ্ঠ অসুস্থ সিনিয়র নাগরিকের বাড়ি লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাম্য হতে পারে না। তিনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে এই সহিংস প্রাণঘাতি রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণের জন্য আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিক ভাবে সমাধানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারের কিছু উচ্চভিলাসী দলবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে দমন, পীড়ন, গুম, খুন, অপহরণ, বিচারবর্হিভূত হত্যকা-ের মাধ্যমে দেশের জনগণের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রজান্ত্রন্তের কর্মচারী হয়েও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ন্যয় সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে ফেলেছে। অনতিবিলম্বে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ, শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় সম্মিলিত পেশাজীবীর পক্ষ থেকে নিন্দায় স্বাক্ষর করেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সাবেক ভিসি ঢাবি, অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকমিশন, অধ্যাপক ড. জেড এন তাহমিদা খাতুন, সাবেক ভিসি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, সাবেক ভিসি মাওলানা ভাসানি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, সাবেক ভিসি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. শাহ মো. ফারুক, সাবেক ভিসি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. উমর ফারুক, সাবেক ভিসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি হাজী দানেশ বিশ্বাবিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. আমিনুল হক, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. ওয়াকিল আহম্মেদ, সাবেক প্রো-ভিসি, ঢাবি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাবেক আণবিক শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ আজিজ, সাবেক ভিসি, ঢাবি অধ্যাপক ড. এ এস এম ফায়েজ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম.এ. আজিজ, ড্যাব-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডিইউজের সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. হারুন-অর-রশিদ, ইঞ্জি. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউট্যাব এর মহাসচিব অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার টফি, আহবায়ক সাদাদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, ঢাবি সাবেক শিক্ষক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান, জাবি অধ্যাপক শামছুল আলম, জাবি অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম, বিএসএমএমইউর সাবেক প্রো ভিসি অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কৃষিবিদ এসোসিয়েশনের আহবায়ক আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা, সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, শিক্ষক কর্মচারীর ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, এমবিএ এসোসিয়েশন এর সভাপতি সৈয়দ আলমগীর, মহাসচিব শাকিল ওয়াহেদ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাবি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ কামরুল আহসান, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।