কাতারে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে দেশটিতে অবকাঠামো নির্মাণে অধিকহারে কর্মী পাঠাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুর লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশী কর্মীদের ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করছে। এর মধ্যে কাতারই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার। আগামী ২০২২ সালে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকার দেশটিতে অধিকহারে কর্মী পাঠাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।’
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে কাতারে গমন করা বাংলাদেশী কর্মীর সংখ্যা ৮৭ হাজার ৫৭৫ জন। যা গত অর্থবছরে প্রেরিত কর্মীর প্রায় ২১ ভাগ এবং এককভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মী প্রেরণকারী দেশ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যান মতে, গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৯১ লাখ ৭১ হাজার ১৩৯ জন কর্মী বৈধভাবে গমন করেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৩৮ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন কর্মী।
তিনি বলেন, ‘বিগত অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মী গমন করেছেন। সরকারের অব্যাহত শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতায় সৌদি আরবে ২০০৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা শ্রম বাজার পুনরায় উন্মুক্ত হয়েছে। আশা করা যায়, শিগগিরই নামমাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে দেশটিতে ব্যাপক হারে কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে কর্মী প্রেরণের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাহিদা মোতাবেক যোগ্যতাসম্পন্ন সকল পেশার বাংলাদেশী কর্মীর জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে।’