এই লোকটি কে আমরা নারায়নগন্জ শহরের সবাই ই কম বেশী চিনে থাকি।তাকে কখন ও বসা অবস্থা বা কখন ওতার উড়াল পন্খী নিয়ে শহরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে ছুটে চলতে দেখা যায়।নাম তার সাইদুর রহমান ।পেশায় একজন রিক্শা চালক। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ । জীবিকার তাগিদে থাকেন নারায়নগন্জ শহরের শিবুমাকেট এলাকা তে । আর দশ টা রিকশা চালকের মতো মনে হলে ও ভিন্ন সে ।শারীরিক অক্ষমতা ও পারে নি তাকে থামিয়ে রাখতে ।অফিস শেষ করে যখন বাড়ি ফির ছিলাম তখন এই রিকশা চালক হঠাৎ সামনে এসে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললেন মামা কোথায় যাবেন ।তাকে দেখে তার জীবন কাহিনী জানার ইচ্ছেহলো ।রিকশা তে চড়তে চড়তে জানা গেল তার জীবনের না জানা অনেক গল্প।তার বাম হাত কাটা কেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ১৯৯৬ সালে ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে ময়মনসিংহ যাবার পথে ট্রেন এর ছাদ থেকে পরে তার হাত কাটা যায় ।তার পরিবার নিয়ে থাকেন নারায়নগন্জ শহরের শিবুমাকেট এলাকা তে ।ছোট্ট সংসার তার ।গড়ে আছেন বউ আর দুই বাচ্চা। ছেলের নাম ইয়াসির রহমান ।বয়স ৭।আর মেয়ের নাম তানজিনা রহমান বয়স ১০।কিন্তু অভাব এর তাড়নায় এই ১০ বছর বয়সী মেয়েটিকে যেতে হয়েছে গামেন্টস এর মতো কঠিন জায়গায়। ইয়াসির রহমান পড়ছে ক্লাস ১ এ। সাইদুর রহমান এর পূব ইতিহাস থেকে জানা গেল আগে সে গৃহস্থালী কাজ করতো গ্রামে ।কিন্তু দেশের এই অবস্থার জন্য এখন আর কাজ পায় না বলে নারায়নগন্জ শহরে আসন এক বছর আগে।কিন্তু অভাব তার পিছু ছাড়ছেন না ।সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা পান তা গেরাজে জমা দিয়ে তার আর তেমন কিছু ই থাকে না ।তার উপর বাড়ি ভাড়া দিতে হয় মাসে ২০০০ টাকা । সাইদুর রহমান বলেন দেশের চলমান অবস্থার জন্য টাকা আয় আরো কমে গেছে ।এখন তিন বেলা খাবার জোটানো ই কষ্টকর হয়ে গেছে । সাইদুর রহমান বলেন যখন মানুষ কোন সামান্য কারনে গালি গালাজ করে তখন খুব খারাপ লাগে ।
শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্তে ও ভিক্ষার থলে হাতে না নিয়ে,কারো বোজা না হয়ে আমাদের অথনীতি তে
অবদান রাখছে সাইদুর রহমান । এই মানুষ গুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে অক্ষমতার দোহায় না দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।একটা ই প্রাথনা আর যেন কোন শিশু কে অভাব এর তাড়নায় যেতে না হয় গামেন্টস এর মতো কঠিন জায়গায়।