পদ্মার পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফার অবস্থান সনাক্ত করেছে ডুবুরিরা। নদীর মাঝখানের এক ‘ডুবোচর’ এর ওপর লঞ্চটি আটকে আছে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় পাওয়া মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
উদ্ধারকৃত মৃতদেহ পাটুরিয়া ঘাটের বিআরটিসি যাত্রী ছাউনিতে রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। উদ্ধার তৎপরতায় গতি বাড়াতে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ১১ সদস্যের ডুবুরি দল। লঞ্চ ও যাত্রী উদ্ধারের জন্য মাওয়া থেকে রওয়ানা হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
দুপুর দেড়টার দিকে আরিচার উদ্দেশ্যে রুস্তম রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর আরিচা পোর্ট অফিসার এনামুল হক। তবে রুস্তম কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে তা জানা জায়নি।
জানা গেছে, রোববার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ঘাট থেকে মাঝ নদীতে গেলে এমভি নার্গিস নামে একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। ফলে প্রায় শতাধিক যাত্রী সাঁতরে লঞ্চ ও নৌকায় উঠে প্রাণে বেঁচে গেছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় লোকজন।
উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল। ঘাতক কার্গোকে মাস্টারসহ দুইজন আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।