জয়ের জন্য ৩৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলংকার কাছে ১৪৮ রানে হেরেছে স্কটল্যান্ড। ৪৩.১ ওভারে ২১৫ রান তুলেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে স্কটিশরা। স্কটিশদের হয়ে মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফ্রেডি কোলম্যান সর্বোচ্চ ৭০ রান ও অধিনায়ক প্রিস্টন মমসেন করেন ৬০ রান। কোলম্যান ৭৪ বল খেলে ৭০ রান করেন। অার ৬০ রান করতে ৭৫টি বল খেলেছেন অধিনায়ক মমসেন। স্কটিশদের আর কেউই তেমন রানের দেখা পায়নি। শ্রীলংকার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা ২টি উইকেট, নুয়ান কুলাসেকারা ও দুশমন্থ চামিরা ৩টি করে উইকেট, থিসারা পেরেরা ও দিলশান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টের বেলরিভ ওভালে ইনিংসের শুরুতে স্কটল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশ সতর্ক হয়ে খেলছিলেন লঙ্কান ২ ওপেনার দিলশান আর থিরিমান্নে। তবে ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে ইভানের বলে স্কটিশ দলপতি প্রিস্টন মমসেনের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন থিরিমান্নে। আউট হওয়ার আগে থিরিমান্নে মাত্র ৪ রান করেন।
এরপর সাঙ্গাকারাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন দিলশান। দলীয় ২১৬ রানের মাথায় ডেভির বলে ম্যাকলিওডের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে দিলশান তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম শতক। বিশ্বকাপে এটা দিলশানের চতুর্থ শতক। বিশ্বকাপে শতকের হিসেবে মাহেলা জয়াবর্ধনে, সৌরভ গাঙ্গুলি, মার্ক ওয়াহ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বাধিক এটি।
দলীয় ২৪৪ রানে ফেরেন জয়াবর্ধনে। দলীয় খাতায় আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই সাঙ্গাগারাকে সাজগরে ফেরান ডেভি। ফেরার আগে সাঙ্গাকারা গড়েছেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা ৪ শতক হাঁকানোর রেকর্ড। শুধু বিশ্বকাপ নয়, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসেও এটি এক নতুন মাইলফলক।
দলীয় ২৮৯ রানে কুশল পেরারাকে সাজঘরে ফেরান রব টেইলর। মাত্র ১৩ বলে ২টি চার ও ২ ছয়ে ২৪ রান করেন কুশল। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস মাত্র ২১ বলে ৫১ রান করে ম্যাচানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। চলতি বিশ্বকাপের আসরে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকান লঙ্কান দলপতি। এরপর থিসারা পেরেরা আর সিকুগে প্রসন্ন দ্রুত বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৬৩ রান। লক্ষণীয়, শ্রীলঙ্কার ৯ জন ব্যাটসম্যানই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। স্কটল্যান্ডের হয়ে জশুয়া ডেভি ৩টি, ইভান ও ব্যারিংটন ২টি করে এবং রব টেইলর ও ম্যাচান ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।
এদিকে, আজকের ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে একাদশ বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে শ্রীলংকা। গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জয় পেয়ে শ্রীলংকার পয়েন্ট ৮। গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান এখন দুই নম্বরে। আর এক ম্যাচ কম খেলে অস্ট্রেলিয়া ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন তিন নম্বরে। আর বাংলাদেশ তাদের ৫ ম্যাচের ৩টিতে জয় ও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ১টি ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে এখন একই গ্রুপের ৪ নম্বর অবস্থানে রয়েছে।