কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস: মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবিসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে পাকুন্দিয়া থানার এক এএসআই ও চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। সোমবার উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু আলীর স্ত্রী জুয়েনা খাতুন কিশোরগঞ্জের ৩নং আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ ঘটনায় জেলার গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, আবু আলীর বাড়িতে পাকুন্দিয়া থানার এএসআই সানাউল হক ও চার অজ্ঞাত পরিচয় কনস্টেবল রোববার দুপুরে গিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এ সময় আবু আলীর স্ত্রী জুয়েনা খাতুন (৬২) প্রতিবাদ করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী আবু আলীকে নিয়ে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। এ সময় আবু আলীর পুত্রবধূ লাকি আক্তার প্রতিবাদ করলে পুলিশ তার পিঠে বেত্রাঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। ফিরে যাওয়ার সময় একটি চিরকুটে এএসআই সানাউল হক তার নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় দেখা করতে বলেন। অন্যথায় বাড়িঘর ভেঙে মামলা দিয়ে সবাইকে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় আতংকগ্রস্ত জুয়েনা খাতুন বাদী হয়ে সোমবার আদালতে দণ্ডবিধির ৪৪৮/ ৩২৩/৩৫৪/৩৮৫/১১৪ ধারায় অভিযোগ করেন।