শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ত্রিবর্দী এলাকায় এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করেছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া জানান, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. আমান উল্লাহ (২৭) ওই এলাকার চৈতী গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করতেন। তার বাড়ি বরিশাল জেলায়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আমান উল্লাহ সকালে ত্রিবর্দী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই পোশাক শ্রমিক মৃত্যু হয়।বাসের ১০ যাত্রীও আহত হন।
বাসচাপায় শ্রমিক নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে আমানউল্লাহর সহকর্মীরা এসে খাদে পড়া বাসটিতে আগুন দেয়।পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে মহাসড়কে আটকাপড়া এবং পাশের একটি গ্যারেজে থাকা প্রায় ১০টি গাড়িতে ভাংচুর চালায় তারা।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।