স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ গৃহবধু ঝুমুর বিয়ে হয়েছে ২০০৭ সালে। বিয়ের এক বছর পর স্বামী হারুন অর রশীদ ৪ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে চলে গেছেন মালেশিয়ায়। এরপর থেকে হারুন আর কোন খোঁজ-খবর রাখেননি স্ত্রীর। সংসার চালানোর জন্য স্ত্রীকে গত ৭ বছরে একটি টাকাও বিদেশ থেকে পাঠায়নি সে। বর্তমানে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর আবার শ্বশুর, শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ঝুমুর সুলতানা রিমি। অত্যাচারের যন্ত্রনা সইতে না পেরে সেই থেকে রয়েছেন বাপের বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বুজরুখমুুন্দিয়া গ্রামে। মেয়ের পিতা আলী হোসেন জানান, ২০০৭ সালে যশোর জেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকার আরিচপুর গ্রামের রেজাউল মন্ডলের ছেলে হারুন অর রশীদের সাথে তার মেয়ে ঝুমুর সুলতান রিমি বিয়ে হয়। বিয়ের পর জামাই বিদেশ যাবার কথা বলে তার কাছে টাকা চায়। অসহায় আলা হোসেন জমি বিক্রি করে জামাইকে বিদেশ যাবার জন্য নগদ ৪ লাখ টাকা দেন। এরপর জামাই মালেশিয়া চলে যাবার পর মেয়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না। শ্বশুর শ্বাশুড়ীও চালায় তার উপর নির্যাতন। ফলে মেয়েকে আমার বাড়িতে ৭ বছর ধরে রেখে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী (ঝুমুরের মা) পারুল বেগম বাদি হয়ে কোর্টে একটি মামলা করেন। মামলায় ছেলের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের আসামি করা হয়েছে। যার মামলা নং কালী সিআর ২৪৪/২০১৩। মামলা দায়ের পর আসামিরা আমার স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাপক মারপিট করে এবং মামলা তুলে নেবার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আামিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।