স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ডকে শক্ত করার লক্ষ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে শিক্ষকেরা। অন্যদিকে জনগনের সেবক জনপ্রতিনিধি। সুবিধা-অসুবিধায় সর্বক্ষনিক জনগনের পাশে থাকেন জনপ্রতিনিধি। আর এই মহান কাজ দুটি একই সঙ্গে সম্পাদন করে চলেছেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আশরাফুল মিঠু। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে পৌরসভায় থাকেন প্রায়ই। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। তাদের যতটুকু শেখার প্রয়োজন ততটুকু শেখার জন্য পাচ্ছে না শিক্ষককে। এলাকা বাসী জানিয়েছেন এভাবে একজন দুইটা কাজ করে দুইজায়গা থেকেই বেতন তুলে নিচ্ছেন যা আইনত অবৈধ। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন এক জনে দুই কাজ করে কিভাবে। তাছাড়া উভয়ই হ্মতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও উপস্থিত থাকেন না বিদ্যালয়ের দোয়ায় দিয়ে। ৩নং ওয়ার্ড বাসীও পাচ্ছেনা সুবিধা-অসুবিধায়। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) ১৭ নং অধ্যাদেশের (ঙ)অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের বা পৌরসভার অথবা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন, তাহলে সে ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকিবার যোগ্য নহে। স্থানীয় সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী, কোন জনপ্রতিনিধি ২ স্থান থেকে বেতন /ভাতা নিতে পারেনা। কিন্তু মিঠু কাউন্সিলর সলিমুন্নেছা বিদ্যালয় ও পৌরসভা উভয় স্থান থেকেই বেতন ভাতা নিয়ে থাকেন, যেটা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। বিভিন্ন ছল-চাতুরি,অনুনয়-বিনয়ের মাধ্যমে উভয় স্থান থেকে বেতন গ্রহণ করে চলেছেন। সপৌর তহবিল তছরুপ কারী , শিক্ষাদানে ফাঁকি, জনগনের আমানত নষ্টকারী এমন ব্যক্তিদের ঘৃনার সাথে বর্জন করা উচিৎ। এধরনের দ্বিমুখি নীতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া উচিত। এরা সমাজের জ্ঞানপাপী মুখোশধারী অর্থলোভী কালপ্রিট।