তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির জানান, শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় তারা পাঁচজন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “রিভিউ আবেদনের শুনানিসহ প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শের জন্য আমরা সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছিলাম। কারা কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যায় আমাদের মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।”
কামারুজ্জামানের অপর আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, মশিউল আলম, মতিউর রহমান আকন্দ ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন তার সঙ্গে থাকবেন বলে শিশির মনির জানান।
জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্ববধায়ক ফরমান আলী বলেন, “আইনি পরামর্শের জন্য পাঁচজনের একটি দল শনিবার কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন করেছেন। বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি।”
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা আগামী রোববার। তার একদিন আগে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে যাচ্ছেন আইনজীবীরা।
রিভিউ আবেদনের বিষয়টি সুপ্রিম আপিল বিভাগের রোববারের কার্যতালিকার ছয় নম্বর ক্রমে রাখা হয়েছে। গত বুধবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে দেয়।
গতবছর ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের এই বেঞ্চই ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখে। এই আপিল বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুরে ১২০ জন পুরুষকে ধরে নিয়ে হত্যার দায়ে একাত্তরে ময়মনসিংহের আল বদর নেতা কামারুজ্জামানকে সর্বোচ্চ সাজার এই আদেশ দেয় আদালত।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির রায় এসেছিল ২০১৩ সালের ৯ মে।
আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলেও আসামির আইনজীবীরা গত ৫ মার্চ রিভিউ আবেদন করলে সেই পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত হয়ে যায়।
আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে দুই দফা তারিখ পেছানোর পর রোববার আবারও ওই রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে উঠছে।
আপিল বিভাগের রায়ে একজন বিচারক দণ্ডের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তার পয়েন্টগুলো ধরেই এই রিভিউ আবেদন করা হয়েছে বলে কামারুজ্জামানের আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম এর আগে জানিয়েছিলেন।
রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন এই যুদ্ধাপরাধী।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যার সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের আগে রিভিউয়ের পর্যায়ে এসেছে।