যৌতুকের মামলা থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রীকে হত্যার পর আলামত মাটিতে পুঁতে রেখেও শেষ রক্ষা হল না ঘাতক নূরুল ইসলামের। বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধ্যপাড়ার বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকা থেকে নিহত গৃহবধূ মিনা বেগমের (৩২) কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়। গত ৭ মার্চ তারাপাশা এলাকায় একটি মাঠ থেকে মিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নূরুল ইসলাম তাকে প্রায়ই মারধর করত। একপর্যায়ে মিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। ৪ মার্চ আবারও সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে মিনাকে কিশোরগঞ্জ আসতে অনুরোধ করে স্বামী নূরুল ইসলাম। ওই রাতে মিনা কিশোরগঞ্জ এলে নূরুল ইসলাম তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে তারাপাশা এলাকায় এশটি বিলে নিয়ে যায়। সেখানে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মিনাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় নূরুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, মিনাকে হত্যার পর তার পরনের কাপড়-চোপড় ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার দূরে মাটিতে পুঁতে রাখে নূরুল ইসলাম।